Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪,

গরুর মাংস ও চালের রুটির জন্য বিখ্যাত নানির হোটেল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

মে ২৫, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম


গরুর মাংস ও চালের রুটির জন্য বিখ্যাত নানির হোটেল

সুস্বাদু গরুর মাংস আর চালের রুটির জন্য বিখ্যাত কিশোরগঞ্জের জেলখানা মোড় এলাকার নানির হোটেল। প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। খাদ্য প্রেমিকরা এখানে আসে দেশীয় পদ্ধতিতে রান্না করা গরুর মাংস আর চালের রুটি খেতে।

২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এই নানির হোটেল। নানির হোটেল নামটির তাৎপর্য রয়েছে। কিশোরগঞ্জের সাবেক প্রয়াত ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাইদ এই নানির হোটেল নামটি দেন বলে জানায় হোটেল মালিক সিরাজ মিয়া ওরফে সিরাজ বাবুর্চি।

এখানে আবাল বৃদ্ধ বণিতা,বি ভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় কর্মকর্তারাও আসে টাটকা গরুর মাংস পরোটা বা চালের রুটি খেতে। দিনে ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এ হোটেল।

জেলখানা মোড়ে গিয়েছেন কিন্তু নানির হোটেলের গরুর মাংস এবং চালের রুটি খায়নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। জেলখানা মোড়ের বিখ্যাত নানির হোটেলের মালিক সিরাজ মিয়া (৭৫)। তিনি ২০১৩ সালে জেলখানা মোড় এলাকায় এ হোটেল দেন।

এর আগে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন। কিশোরগঞ্জে তাজ হোটেলেও কিছুদিন বাবুর্চির কাজ করেছেন। এরপর নিজেই হোটেল দেন। যা বর্তমানে নানির হোটেল নামে বিখ্যাত।

সিরাজ মিয়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত হোটেলের ক্যাশ সামলান। তা ছাড়া তিনি নিজেই গরুর মাংস রান্না করেন। তার রান্না করা গরুর মাংসের স্বাদই আলাদা। এই স্বাদ নিতেই প্রতিদিন হাজারো ভোজনরসিক এসে ভিড় করে তার হোটেলে।

সিরাজ মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম (৫৫)। তিনি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেলের ক্যাশ সামলান। দুই স্বামী স্ত্রী মিলে চালাচ্ছেন তাদের বিখ্যাত এই নানির হোটেলটি।

নানির হোটেলের মালিক সিরাজ মিয়া ওরফে সিরাজ বাবুর্চি বলেন, প্রতিদিন একটা দেশি গরু জবাই করা হয় তার হোটেলে খেতে আসা ভোজন রসিকদের জন্য। তিনি নিজেই রান্না করেন এই মাংস। পরে পরোটা বা চালের রুটির সাথে পরিবেশন করা হয় সুস্বাদু গরুর মাংস।

সিরাজ মিয়া আরও বলেন, প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয় তার হোটেলে। এর থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে ভালোমতো সংসার চলে যায়। আমি যতদিন আছি এই নানির হোটেলের গরুর গোস্ত আমি নিজেই দেশীয় পদ্ধতিতে রান্না করে সবাইকে খাওয়াচ্ছি। আমি না থাকলে অন্য বাবুর্চি আসবে তারা এভাবে রান্না করে খাওয়াতে পারবে কিনা জানি না।

নানির হোটেলে গরুর মাংস ও চালের রুটি খেতে আসা সাংবাদিক রায়হান জামান বলেন, আমাদের কিশোরগঞ্জের একটি প্রসিদ্ধ হোটেল হচ্ছে নানির হোটেল। এখানে যে গরুর মাংস এবং চালের রুটি খাওয়া হয় সেটা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মজাদার যেন ঘরে রান্না করা খাবারের মত মনে হয়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে নানির হোটেলের টাটকা গরুর মাংস এবং হাতে তৈরি করা চালের রুটি খেতে আসে। আমরা কিশোরগঞ্জের মানুষ হিসেবে গর্ববোধ করি যে এমন একটি হোটেল আমাদের এখানে আছে যা ভোজন রসিকদের চাহিদা মেটাচ্ছে, ভাল খাবার পরিবেশন করে। ২৪ ঘণ্টাই এই হোটেল খোলা থাকে।

ইএইচ

Link copied!