কর্মসূচি স্থগিত, শুক্রবার থেকে খোলা থাকবে সব জুয়েলারি দোকান

জুয়েলারি শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) তাদের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কর্মসূচি স্থগিত করেছে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে যথারীতি সারা দেশের সব জুয়েলারি দোকান খোলা থাকবে।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে ‘ভুয়া ও বানোয়াট রাজনৈতিক পদ’ দেখিয়ে দায়ের করা ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলায় ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতিবাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

বাজুসের দাবি, পুলিশের যে রাজনৈতিক পরিচয় দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে, রিপনুল হাসান কখনোই সেই পদে ছিলেন না, এমনকি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। তিনি কোনো দলের সদস্যপদও গ্রহণ করেননি।

সংগঠনটি জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে সারাদেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে জুয়েলারি দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “সারাদেশের ব্যবসায়ীদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ কর্মসূচি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ জন্য বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটি পক্ষ থেকে সব জুয়েলারি মালিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হচ্ছে।”

তবে আসন্ন ঈদুল আজহা ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “বাজুসের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, আইজিপি এবং ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে, যাতে এই নির্দোষ ব্যবসায়ীকে হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।”

তবে সংগঠনটি সতর্ক করে জানিয়েছে, রিপনুল হাসানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে বাজুস ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার রাতে বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পরদিন (২৯ মে) থেকে দেশের সব জুয়েলারি দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।

ইএইচ