ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বন্ধ হচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া!

বেরোবি প্রতিনিধি

বেরোবি প্রতিনিধি

জুন ১৪, ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম

বন্ধ হচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া!
ক্যাফে বেরোবি

সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তার পাওনা আদায় করতে না পেরে বন্ধ হতে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ক্যাফেটেরিয়া। পাওনা টাকা পরিশোধ না করার তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষক নেতা ছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে।  

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বরাবর চিঠি দিয়ে আগামী ১০ জুলাই থেকে ক্যাফেটেরিয়া চুক্তি বাতিল ও বন্ধের জন্য আবেদন করেছে ক্যাফেটেরিয়া লিজ গ্রহীতা এসএস ক্যাটারিং কর্তৃপক্ষ।

চিঠিতে উল্লেখ করেন, আমরা সুনামের সহিত দীর্ঘদিন ধরে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করে আসছি। বর্তমানে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আগামী ১০ জুলাই থেকে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করা সম্ভব না। ‍উক্ত তারিখ থেকে চুক্তি বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

এরআগে গত ২৭ শে মার্চ ক্যাফেটেরিয়া লিজ গ্রহীতা এসএস ক্যাটারিং এর ব্যবস্থাপক সেলিম মন্ডল বেরোবি রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বিদ্যুৎবিল ও ভাড়া মওকুফের আবেদন করে বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় ক্যাফেটেরিয়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় মজুদ ভোগ্যপণ্য নষ্ট হয়ে গেছে।

এতে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এছাড়া সাবেক উপাচার্য (ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ) ও চারজন শিক্ষকের কাছে ৭৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এ অবস্থায় ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পরেছে। তাই ভাড়া ও বিদ্যুৎবিল মওকুফ করার অনুরোধ করছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পাওনা রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া ব্যবস্থাপকের কাছে।

এ বিষয়ে জানতে ক্যাফেটেরিয়া সহ-ব্যবস্থাপক মুকুল মিয়া বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তাতে প্রতিদিনই লস হচ্ছে। গত মে মাসের ৮ তারিখ থেকে জুন মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো লোকসান হয়েছে। এভাবে আর চালানো যাচ্ছে না।

আর পাওনার বিষয়ে বলেন, পাওনাগুলো ছিলো করোনা পর্যন্ত। পাওনাদারের বেশিরভাগই ক্যাম্পাসে নেই। তাদের কয়েকজনের সাথে পরে যোগাযোগ করে সাড়া মেলেনি। এখন আর কেউ আগের মতো বাকি রাখে না বা ঝামেলা করে না। এখন নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছিলাম। লসের মুখে পরে আর ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

ক্যাফেটেরিয়া লিজ গ্রহীতা ও ব্যবস্থাপক সেলিম মন্ডল বলেন, এখন দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি, বিক্রি কম, ভর্তুকিও নেই , প্রতিদিন কেনা-বেচা শেষে দেখা যায় লস হচ্ছে। তাছাড়া আগের পাওনা তো আছেই। সব মিলে আমাদের আর পোষাচ্ছে না। তাই ক্যাফেটেরিয়া ছেড়ে দিচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার বিদ্যুৎবিল ও ভাড়া দীর্ঘদিন থেকে বাকি ছিলো। লিজ গ্রহীতাদের কাছে এটি চেয়েছিলাম। পরে দেখি তারা ক্যাফেটেরিয়া চুক্তি বাতিলের জন্য আবেদন করেছে।

এইচআর

Link copied!