বরিশালে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার চেষ্টা, পুলিশ সদস্য আটক

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ১২:৫৩ পিএম
বরিশালে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার চেষ্টা, পুলিশ সদস্য আটক

বরিশালের চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বকশিরচর গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিন মোল্লা (৭০) সহ একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার রশিদ সিকদারে ছেলে পটুয়াখালীতে কর্মরত পুলিশ সদস্য সজিব সিকদারের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫ টায় বকশিরচর গ্রামের মাঝি বাড়ির মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয়রা রক্তাত গুরুত্বর আহত অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিন মোল্লাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ৫৮ শতাংশ জমি নিয়ে রশিদ সিকদার ও তার ছেলে পুলিশ সদস্য সবিজ সিকদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিনের সাথে। পরে রফিজ উদ্দিন ২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলায় করেন। কিছু দিন আগে আদালত থেকে মামলায় রায় আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধার রফিজ উদ্দিনের পক্ষে। তারই জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিন ও তার ছেলে সিজান মোল্লা (৩৫) এবং ছেলের বউ নাছরিন (২৭) কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় পুলিশ সদস্য সজিব ও তার বাবা রশিদ সিকদার, জিহাদ মোল্লা। বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলের বউ বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালের ৫ তলায় সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধার ও তার পরিবারের উপর হামলার খবর শুনে ফুসে উঠেছে গ্রামবাসী। এঘটনায় বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারের দাবি জানিয়ে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার ও তার পরিবারের উপরে হমলা ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। হামলাকারী পুলিশ সদস্য সজিব সিকদারকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ সজিব সিকদার পুলিশে চাকুরী করায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছে এলাকায়। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকার্তাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।

কেএস