লঞ্চের আসনে বসা নিয়ে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

চাঁদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০২:২৫ পিএম
লঞ্চের আসনে বসা নিয়ে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ঢাকা সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী-৩ লঞ্চে আসনে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে যাত্রী বাবু আহমেদ ও তার সহযোগীরা সুমন গাজী (৩৩) নামে অপরযাত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় জড়িত ৫জনকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৫টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারের হাসপাতেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে লঞ্চ থেকে নামলে ঘাটের বরিশাল হোটেলের মোড়ে বাবু ও তার সহযোগিরা সুমনকে দেশীয় অস্ত্র ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করে।

হত্যার শিকার সুমন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী গ্রামের স্বপন গাজীর ছেলে। পেশা একজন ফার্নিচারের রং মিস্ত্রি। বিবাহিত কোন সন্তান নেই।

ঘটনায় জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মতলব চেঙ্গারচর পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা একেএম সাহাবুদ্দিনের ছেলে বাবু আহমেদ প্রকাশ সুমন (২২), চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদীর হাসান আলীর ছেলে সবুজ প্রধানিয়া (২৩), একই এলাকার খোকন মোল্লার ছেলে সাজ্জাদ মোল্লা (২৩) শহরের ট্রাক রোড এলাকার নাছির উদ্দিন মাঝির ছেলে সাজ্জাদ হোসেন আপন (২২), রহমতপুর আবাসিক এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে সবুজ খান (২১)।

নিহত সুমনের ভাই বড় ভাই শরীফ গাজী বলেন, আমরা ভাই রাতে লঞ্চে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। লঞ্চের মধ্যে বাবু নামে যাত্রীর সাথে লঞ্চের আসনে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। লঞ্চে থাকা অবস্থায় বাবু তার সহযোগিদের ফোন করে ঘাটে আনে। আমার ভাই লঞ্চ থেকে নামলে তারা ৭ থেকে ৮জন মিলে দেশীয় অস্ত্র ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আমার ভাইকে গুরুতর আহত করে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল থেকে সুমন গাজীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সোয়া ৫টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় জড়িত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত বাকীদেরকে আটক করা হবে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএস