কটিয়াদীতে কাঁপছে সেতু, বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ০১:৪৯ পিএম
কটিয়াদীতে কাঁপছে সেতু, বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের শিবনাথ সাহার বাজার সংলগ্ন কুড়িখাঁই নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু সংযুক্ত করেছে মুমুরদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাঁই ও কটিয়াদী পৌরসভার বোয়ালিয়া গ্রামকে। প্রতিনিয়ত এই সেতুটি দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার সাধারণ জনগণ চলাচল করে থাকেন।

স্বাধীনতা পূর্বকালীন সময়ে কুড়িখাঁই নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থা, সেতুর দু’পাশের রেলিং, পাটাতনের অংশ ভেঙে গিয়ে দেখা যাচ্ছে রড। খসে পড়ছে পিলারের আস্তরণ ও ইট।

ঝুঁকিপূর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া সেতুটির বিকল্প না থাকায় ঝুকি নিয়েই সেতু দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা ।

এ পরিস্থিতিতে সেতুটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুননির্মাণে স্থানীয় প্রতিনিধিরা এগিয়ে না আসায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।

প্রতিনিয়ত সেতুটি দিয়ে বোয়ালিয়া, নামা বোয়ালিয়া, তেলিচারা, কাহেতেরটেকী, ভাংনাদী, চারিয়া, দড়িচারিয়া, মাগুরা, কুড়িখাঁই, চাতল, মুমুরদিয়া, জোয়ারিয়া ও পিপুলিয়া গ্রামের মানুষসহ বাজিতপুর উপজেলার কিছু অংশের মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ৬০ বছরেও সেতুটির কোনো সংস্কার বা পুননির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটি আশু সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর মধ্যস্থানে বাঁশ পোঁতা রয়েছে। সেই বাঁশ সেতুর পাটাতনের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে।

সম্পূর্ণ সেতুর উভয় পাশের রেলিংয়ের পলেস্তারা খুলে পড়েছে। সেখানে লোহার রড বেরিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর পর পণ্যবোঝাই কাভার্ড ভ্যান ও অটো রিক্সা সেতু পারাপারের সময় সেতুটি থরথর করে কাঁপছে।

মুমুরদিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘মুমুরদিয়া ইউনিয়নের মানুষের জন্য এই শিবনাথ সাহার বাজারের সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি পুননির্মাণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’

কটিয়াদী উপজেলা প্রকৌশলী অনতু বল জানান, ‘শিবনাথ সাহার বাজারের পাশের প্রাচীন সেতুটি ভেঙে পুননির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। স্কীম আকারে ২০ মিটারের সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অতি প্রয়োজনীয় এ সেতুর প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’

এআরএস