ঝিনাইগাতিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৪:০০ পিএম
ঝিনাইগাতিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে চলতি বোরো ফসলের ধান খেত ভালো দেখে কৃষকদের মনে খুশি।  জেলার ঝিনাইগাতির সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকেরা প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে বোরো চাষ করেছে। বোরো চাষে কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পরতে হয়েছে। তার পরেও কষ্টের মধ্য দিয়ে বোরো চাষের আবাদ সর্ম্পূণ করেছে।

তবে বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোরো চাষে ব্যায় হয়েছে বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুন। কারন বীজের ক্ষয়-ক্ষতি শ্রমিক সংকটের পর আবার বোরো চাষে অতিরিক্ত ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় বোরো চাষিদের কষ্টের মধ্যে দিয়ে বোরো চাষ করেছে। বর্তমানে বোরো চাষিরা আর্থিক সংকটে আছে। উৎপাদিত বোরো ফসলের এখন পরিচর্যা ও সার বিষ প্রয়োগ সহ সেচ ব্যবস্থায় ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন। 

তাই কৃষকদের বোরো ফসল উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য স্বল্প সুদে দ্রুত সময়ে কৃষি ঋণ দেওয়া জরুরি প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করে। কারন অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলার সিংহ ভাগ লোক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষি। অধিকাংশ পরিবারের আয়ের উৎস কৃষি ফসল। উৎপাদিত ফসল নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল দেশের চাহিদা পূরনে যুগান্তকারি ভূমিকা রাখে অত্র এলাকার কৃষকেরা।

আর্থিক সংকট কাটাতে না পারলে কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমেফসল উৎপাদনে বাধাগ্রস্থ হতে পারে এমন আশঙ্কা কৃষিবিদদের। বর্তমানে চলতি বোরো মৌসুমের ফসল অনেকটা ভালো। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে

জানা যায় এ বছর বোরো হাইব্রিড জাতের বোরো চাষ করেছে, যেমনঃ তেজ-গোল্ড, হাইব্রিড-২৬, হাইব্রিড-২৮, হাইব্রিড-২৯, হিরা-১৯, হিরা-৪, শক্তি-১, শক্তি-১৪, সুপার গোল্ড, আফতাব ও এ.সি.আই গ্রুপের উন্নত জাতের বীজের চাষাবাদ করা হয়েছে। হাইব্রীড ছাড়াও উন্নত জাতের আরো অনেক জাতের বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ভাবে প্রান্তিক চাষি ও দরিদ্র কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড বোরো বীজ ও বিনামূল্যে সার কৃষি প্রণদনা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এত দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের বিনামূল্যে বোরো বীজ ও সার পাওয়ায় বোরো চাষে কৃষকরা অনেকটা উৎসাহি হয়েছে। কারন অত্র এলাকার  অধিকাংশ কৃষক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষি। সরকারি এই কৃষি প্রনদনায় কৃষকদের জন্য বোরো চাষে সহায়ক হয়েছে। ঝি

নাইগাতি কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ থেকে জানা যায় অত্র উপজেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা। কিন্তু ধানের বাজার ভালো হওয়ায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বোরো চাষ করেছে কৃষকেরা এমন ধারনা করা হচ্ছে বেসরকারি ভাবে। বর্তমানে চাষ কৃত বোরো ফসল পরিচর্যায় সেচ ও সার বিষ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তবে বোরো চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা আর্থিক সংকটে আছে। প্রতি একর বোরো চাষে খরচ বেড়ে দারিয়েছে ৩৫/৪০ হাজার টাকা।

বর্তমানে বোরো ফসলের খেতের অবস্থান খুব ভালো। চাষাবাদ কৃত বোরো ফসলের অবস্থান দেখে মনে হয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ফসলের অবস্থা দেখে কৃষকের মুখে হাসি। যদি প্রকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে বোরো উৎপাদন লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলার সম্ভাবনা রয়েছে। 

ঝিনাইগাতি কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, সম্প্রসারন বিভাগের কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, নাদিয়া আক্তার ও কৃষি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক, আল-আমিন এদের সাথে কথা হলে তারা জানান, চলতি বোরো মৌসুমের উৎপাদিত ফসলের সার্বক্ষণিক খুজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কৃষকের মাঠে মাঠে ফসলের সমস্যা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যহত না হয় এই দিকে আমরা সর্বদায় নজর রাখছি।

এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার কৃষকরে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরিদর্শন করেন। এবং উৎপাদন যাতে ভালো হয় সে বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দেন কৃষকদের। কৃষি কর্মকর্তার এমন উৎসাহের কারনে কৃষকরা অনেকটাই সন্তুষ্ট।

আরএস