ইটভাটায় মাটি নিতে নদীতে বাঁধ নির্মাণ

এম এইচ শুভ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
ইটভাটায় মাটি নিতে নদীতে বাঁধ নির্মাণ
মুরাদনগর উপজেলায় ফসলি জমি থেকে ইটভাটায় মাটি নিতে খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে (সরু নদী) বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

পানি চলমান নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে চরম আকারে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি জমির সেচ কার্যক্রম। তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। এতে করে হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আসে পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার দারোরা ও ধামঘর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে খিড়া নদী। এক সময় এ নদী দিয়ে যাত্রীবাহী ও মালবাহী শত শত নৌকা এবং ট্রলার চলাচল করতো। বর্তমানে দারোরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন ৮/১০টি ট্রাক্টর কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি জোগান দিচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানায়, কৃষি কাজই আমাদের প্রধান পেশা। এ কাজ করেই আমরা সংসার চালাই। কিন্তু ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা আমাদের এ রুটি রুজিতে আঘাত করছে। এরা যে ভাবে কৃষি জমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর আমরা আর জমি খোঁজে পাবো না। প্রশাসন যদি এখনই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমাদের ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।

ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই জমির মালিক আমার ভাই। সে বিদেশ থাকে। জমি গুলো দেখা-শোনার দায়িত্বে আমি রয়েছি। ভাই নিজেই মাটি বিক্রি করেছে। 

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা নিপা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বিষয়। বিষয়টি খবর নিয়ে খুব দ্রুত নদীটি খুলে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআরএস