কেরানীগঞ্জে ক্রমাগত তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে ফসলি জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দিয়েও কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। করলা, শসা, লালশাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, বেগুন, পটল, লাউ, ঝিঙে, কচুসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কেরানীগঞ্জে টানা প্রায় এক মাস ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। যার কারণে বিপর্যয় ক্রমশই বাড়ছে।
তীব্র গরম ও তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের সবজি ক্ষেত। সবজি নষ্ট হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের কৃষকেরা।
কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের মানিকনগর এলাকায় গ্রামের কৃষক হারুন উদ্দিন ৪০ শতক জমিতে পটোল আবাদ করেন। তবে তীব্র গরম ও তাপদাহে পটল ক্ষেত পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাছে পটল আসার পরেই তীব্র গরম ও তাপমাত্রার কারণে পটলসহ গাছের পাতা মরে যাচ্ছে। পুরো ক্ষেতের একই অবস্থা।
তবে গত কয়েকদিনের টানা তাপদাহে মৌসুমি সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস বলছে, ফসল রক্ষায় কৃষকদের সচেতন করছেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা।
কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর, কলাতিয়া, তারানগর ও রোহিতপুর ইউনিয়ন কৃষি মাঠগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, মাচায় মাচায় ঝুলছে লাউ, পটল, শসা ও করলা। কোথাও আবার বেগুন, টমেটো, কাঁকরোল, লালপুঁই ও পালঙশাকসহ নানা রকমের নতুন নতুন সবজি ক্ষেত।
এমন সবুজ ক্ষেতের দৃশ্য এখানে হরহামেশাই চোখে পড়েছে। তবে সবজি ক্ষেতগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার কলাতিয়া এলাকার বাসিন্দা আতর আলী বলেন, তার প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে করলা আবাদ করেছেন। টানা কয়েকদিনের গরমে করলা ঝরে পড়েছে এবং গাছের পাতাগুলো মরে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী
বেলনা গ্রামের কৃষক জলিল উদ্দীন বলেন, উন্নত বীজ ব্যবহার করে একাধিক জমিতে কইডা, চিচিঙ্গা ও করলা আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত সবজির জমিগুলো মোটামুটি ভালো আছে। তবে আরও গরম পড়েছে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হিমেল সরকার জানান, তীব্র গরমে কিছু কিছু সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে কী পরিমাণ নষ্ট হয়েছে, বিষয়টি জানাতে পারেননি তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মহুয়া শারমিন মুনমুন বলেন, টানা কয়েকদিনের তাপদাহে সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বৃষ্টি না থাকায় এবং জমিতে পানি না দেয়ার কারণে সবজির ক্ষতি হতে পারে। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজি পটল, ঢেড়স, ঝিঙে, করলা ছাড়াও মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল ও লিচু ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাপ প্রবাহের কারণে স্প্রে মেশিন দিয়ে ফল গাছে পানি দেওয়ার পাশাপাশি গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে।
ইএইচ