কাপ্তাইয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪, ১২:১১ পিএম
কাপ্তাইয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় প্রতিদিনই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে জাতীয় পেনশন স্কিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধার কথা অনুধাবন করতে পেরে স্থানীয়দের মাঝে এর আগ্রহ বাড়ছে।

এছাড়াও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলার বেশকিছু সংখ্যক বাসিন্দা পেনশন স্কিম চালু করেছেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।

এছাড়াও পেনশন স্কিমে ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখানে প্রগতি, সমতা, প্রবাস এবং সুরক্ষা স্কিম। সাধারণত প্রগতি স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কর্মচারীরা এই স্কিম গ্রহণ করতে পারবে। যেখানে মাসিক চাঁদার হার ২০০০, ৩০০০ এবং ৫০০০।

এছাড়া সমতা স্কিমে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী যাদের বাৎসরিক আয় অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা। তাদের মাসিক চাঁদা ১০০০। তৎমধ্যে ৫০০ টাকা নিজের এবং ৫০০ টাকা সরকার দিবে।

প্রবাস স্কিম সাধারণত প্রবাসীদের জন্য। প্রবাস স্কিমে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদানে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসাবে জমা হবে।

সবশেষে রয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিমে কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, গৃহিণী, তাঁতিসহ সব অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। মাসিক চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।

এছাড়া কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। যেখানে পেনশন স্কিম চালু থেকে শুরু করে যেকোনো বিষয়ে জানার সুযোগ এবং সেবা পাওয়া যাচ্ছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দীন জানান, উপজেলার বাসিন্দাদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত অবগত করছি। এতে দিন দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগ্রহ বাড়ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার অনেক বাসিন্দা এই সেবা গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করবো, দ্রুত সময়ে এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চলে আসবে। এতে করে যারাই এই পেনশন স্কিম সেবার আওতায় আসবে তারা সকলেই ভবিষ্যতে এর সুফল ভোগ করবে।

ইএইচ