অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী চঞ্চলের

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী চঞ্চলের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মো. মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চল নামের এক অদম্য মেধাবীর।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২০২তম স্থান অর্জন করেছে চঞ্চল। তবে আগামী ৫ মে ভর্তি শেষ দিন হওয়ায় সময়ের সংকটে পড়েছে সে ও তার পরিবার।

চঞ্চল গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চকদাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর মো. আব্দুস ছালামের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। বড় ভাই মশিউর রহমান রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

জানা যায়, আব্দুস ছালাম একসময় পান ব্যবসার পাশাপাশি দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। বসতভিটা ছাড়া তাদের কোনো সহায়-সম্পদ নেই। অভাবের তাড়নায় সংসার চললেও কখনো কারও কাছে হাত পাতেননি তিনি। কিন্তু ছেলের উচ্চশিক্ষার জন্য এখন সমাজের সহানুভূতির দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।

চঞ্চল ২০২২ সালে খোর্দ্দকোমরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে ভাতগ্রাম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ অর্জন করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লক্ষ্যে ক-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় স্থান পায়।

চঞ্চল বলেন, “স্বপ্ন দেখি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু টাকার অভাবে হয়তো সেই স্বপ্ন থেমে যেতে পারে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, এখনো ভর্তির অর্থ জোগাড় হয়নি।”

চঞ্চলের মা বলেন, “অভাবের কারণে ছেলেদের বাবার বাড়িতে রেখে বড় করেছি। মামা আব্দুল লতিফ এখন পর্যন্ত দুই ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন। কিন্তু ছোট ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভবিষ্যৎ খরচের দায়িত্ব নেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই।”

চঞ্চলের বাবা আব্দুস ছালাম বলেন, “ছেলের উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েও ভর্তির খরচ দিতে না পারার যন্ত্রণায় আমি দিশেহারা। কতক্ষণ আর অন্যের কাছে চাইবো! সমাজের সহৃদয়বানরা পাশে দাঁড়ালে হয়তো আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে।”

চঞ্চলের বড় ভাই মশিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে এই নম্বরে: ০১৩১২৪২৩৩৬২।

ইএইচ