হিরো ও ভিলেনকে নিয়ে বিপাকে খামারি শহিদুল ইসলাম

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
হিরো ও ভিলেনকে নিয়ে বিপাকে খামারি শহিদুল ইসলাম

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের মওয়াগাড়ী গ্রামের খামারি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম শখের বশে গত চার বছর ধরে লালন-পালন করছেন দুটি ষাঁড়। মানব শিশুর মতো ভালোবাসা দিয়ে বড় করা এই ষাঁড় দুটির নাম রেখেছেন ‘হিরো’ ও ‘ভিলেন’। তবে এখন এই ষাঁড় দুটিকে নিয়েই চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।

প্রতিদিন শহিদুল ইসলাম মাস্টারের বাড়িতে ভিড় করছেন আশপাশের এলাকার উৎসুক মানুষ। বিশালদেহী হিরো ও ভিলেনকে একনজর দেখতে অনেকেই ছুটে আসছেন দূরদূরান্ত থেকেও।

ষাঁড় দুটির নামকরণের বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, “কালো রঙের ষাঁড়টি একটু বদরাগী, ওজনও বেশি—তাই তার নাম রেখেছি ‘ভিলেন’। অপরটি শান্ত স্বভাবের হওয়ায় নাম দিয়েছি ‘হিরো’।"

তিনি জানান, গত চার বছরে প্রতিটি ষাঁড়ের পেছনে খরচ হয়েছে প্রায় ছয় লাখ টাকা করে। খাদ্য, চিকিৎসা, শ্রমিক ও খামার রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রতিদিন খরচ হচ্ছে গড়ে এক হাজার টাকা। কিন্তু এত যত্ন করে মোটাতাজা করা সত্ত্বেও বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিলেও সাড়া মেলেনি।

শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি চেয়েছিলাম হিরো ও ভিলেনকে কোরবানির ঈদের জন্য বিক্রি করতে। কিন্তু প্রতন্ত এলাকায় এত বড় গরুর ক্রেতা নেই। বাধ্য হয়ে এখন ‘ভিলেন’কে জবাই করে মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাখাও সম্ভব নয়, খরচ দিনে দিনে বাড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেকেই আমার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এখন গরু বিক্রি না হওয়ায় নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে আমিও হতাশ হয়ে পড়েছি।”

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সার্জন সাদিকুল ইসলাম বলেন, “এবার ঈদে বাহিরের বাজারে কোরবানির পশুর চাহিদা কম। বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দামও কিছুটা বেশি। ফলে অনেক খামারি কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছেন না।”

ইএইচ