বেনাপোলে ধরা পড়ল ‘শুল্ক ফাঁকির’ বড় চাল

যশোর প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
বেনাপোলে ধরা পড়ল ‘শুল্ক ফাঁকির’ বড় চাল

বেনাপোল স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকির মাধ্যমে ভারত থেকে আনা প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ ও ঘোষণা-বহির্ভূত পণ্য আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দরের পণ্যগারের ২৬ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।

আটক পণ্যের মধ্যে রয়েছে— প্রায় ৬০ কেজি আমদানিকৃত নিষিদ্ধ ওষুধ, ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ২ হাজার ২০০টি মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে, ৬০ পিস শাড়ি কাপড় এবং এক বস্তায় রহস্যজনক সাদা পাউডার। ওই পাউডারের প্রকৃতি নিশ্চিত হতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।

এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার মির্জা রাফেজা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলাম।

কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, আটক পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন্স’। পণ্য চালানের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট ‘সার্ভিস লাইন’, বেনাপোল, যশোর। প্রতিষ্ঠানটির মালিক বাবলুর রহমান এবং বন্দরের ২৬ নম্বর শেডের ইনচার্জ মো. তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।

তদন্তে আরও জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ, ওষুধসহ নানা নিষিদ্ধ পণ্য এলসির বাইরে এনে কৌশলে দেশে পাচার করতেন। বৈধ পণ্যের আড়ালে এসব পণ্য গোপনে ট্রাকে তুলেও পাঠানো হতো। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

স্থানীয় সূত্র বলছে, শেড ইনচার্জদের যোগসাজশে বন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে শুল্ক ফাঁকি ও নিষিদ্ধ পণ্য পাচারের একপ্রকার 'সিন্ডিকেট'। ঘুষ বাণিজ্যের কারণে বন্দরে কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে, ওজন স্কেলে কারসাজি, পণ্যের অবৈধ এন্ট্রি ও লুকানো পণ্য পাচার এখন প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে।

এ ঘটনায় কাস্টমস হাউসের জয়েন্ট কমিশনার মির্জা রাফেজা জানান, ‘আমরা পণ্য চালানটি জব্দ করেছি। কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

বিআরইউ