পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হলো মৌসুমী ফল উৎসব ২০২৫।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবে আম, কাঁঠাল, আনারস, আমড়া, পেয়ারা, পেঁপে, কলা, ড্রাগন ফল, লটকন, করমচা, সফেদা, কামরাঙা, কাউফল, ডেউয়াসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মৌসুমী ফলের সমারোহ ছিল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উৎসবে অংশ নিয়ে ফলের সঙ্গে পরিচিত হন এবং স্বাদ গ্রহণ করেন। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম সকাল ১০টায় ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ এই ফল উৎসব। বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের উর্বর মাটিতে শতাধিক প্রজাতির মৌসুমী ফল জন্মায়। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকের সাথেই এসব ফলের তেমন পরিচয় নেই। তাই এ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশীয় ফলের সাথে পরিচিত করিয়ে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মতো এমন সবুজ-শ্যামল, সুজলা-সুফলা দেশ বিশ্বে বিরল। এখানে যেমন নানা মৌসুমে ফল জন্মায়, তেমনি শীতকালেও প্রচুর সবজি উৎপাদিত হয়। এসব ফল ও সবজি কেবল সুস্বাদু নয়, বরং স্বাস্থ্যসম্মতও। নিয়মিত এগুলো খেলে নানা রোগবালাই থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।”
উপাচার্য সবাইকে খালি জায়গায় ফলজ গাছ লাগানোর এবং দেশি ফল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকতার হোসেন এবং পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এস. এম. রেজাউল ইসলাম শামীম। বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
