রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নোটিশ ছাড়াই সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা রব্বানীর বাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়ালন্দ পৌরসভার আড়তপট্টিতে অবস্থিত আফরোজা রব্বানীর বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়। এ সময় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আফরোজা রব্বানী অভিযোগ করে বলেন, “২০১৫ সালে আড়তপট্টিতে ৩ শতক জমি ক্রয় করে মিউটেশন করে বাড়ি নির্মাণ করি এবং তা ভাড়া দেই। সম্প্রতি পৌরসভা রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং আমাকে মৌখিকভাবে ঘর সরিয়ে নিতে বলে।
আমি দাবি করি, আগে জমি পরিমাপ করে মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হোক। বুধবার আমি পৌর প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, ‘আমি ঘর ভেঙে দেব।’ আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো লিখিত নোটিশ ছাড়াই বাড়িটি ভেঙে দেন।”
তিনি আরও বলেন, “এক মাস আগে আমার ভাড়াটিয়াকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি রাস্তার জমি দিতে রাজি ছিলাম, কিন্তু জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে। আমি নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি এবং আইনের আশ্রয় নেব।”
এ বিষয়ে আফরোজার স্বামী ও গোয়ালন্দ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুব রব্বানী বলেন, “প্রথম নোটিশ পাওয়ার পর আমি পৌর প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে বলি, রাস্তার জন্য জমি দিতে রাজি আছি, তবে পরিমাপ করে মালিকানা অংশ বুঝিয়ে দিন। এরপর আর কোনো নোটিশ ছাড়াই আমার স্ত্রীর বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।”
অভিযোগের বিষয়ে গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, “বাড়িটি সরকারি খাস জমির ওপর নির্মিত ছিল। আগের মালিকের নামে বেশি জমি রেকর্ড হয়েছিল। আমরা নিয়ম অনুযায়ী তিনবার নোটিশ দিয়েছি এবং জমি পরিমাপ করে কাজ করা হয়েছে। জনস্বার্থে সড়ক নির্মাণের প্রয়োজনে ওই স্থাপনা সরানো হয়েছে।”
ইএইচ