ফরিদগঞ্জে বাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য

শিমুল হাছান, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
ফরিদগঞ্জে বাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মিরপুর তরফদার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বাগান থেকে মো. হাসানুর রহমান (৩৭) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 নিহত হাসানুর পৌরসভার নোয়াগাঁও এলাকার মিজি বাড়ির বাসিন্দা ও মৃত খোকন মিজির ছেলে। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন।

শুক্রবার দুপুরে তরফদার বাড়ির বাগানে ড্রেনের পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম, ওসি (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তীসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে যান।

এ সময় ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিহতের দুই হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো দগদগে চিহ্ন রয়েছে এবং তাঁর কোমরে একটি ছুরি পাওয়া গেছে।

নিহতের মেয়ে তানজিনা বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাবা মাছ ধরতে বের হন। এরপর কিছু লোক তাকে খুঁজতে আসে। পরে তারা মুখ চেপে ধরে বাবাকে মারধর করে হত্যা করে। আমি বাবার হত্যার বিচার চাই।”

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “গত ১৯ জুন ছোল্লা বাড়ির খালেকের ছেলে হাছানের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। সে সময় আমার বাবাকে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয় এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”

নিহতের বড় ভাই শরীফ মিয়া বলেন, “হাছান নামের একজন ব্যক্তি বহিরাগত লোক এনে আমার ভাইকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আজ সেই হুমকি বাস্তব হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, “স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “মরদেহের হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। তবে, নিহত হাসানুর রহমানের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ছিনতাই ও মাদকসংক্রান্ত সাতটি মামলা রয়েছে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ইএইচ