গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দুইটি দাখিল মাদ্রাসা থেকে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। ফলে উপজেলায় সামগ্রিক ফলাফলে দেখা দিয়েছে হতাশাজনক চিত্র।
২০২৫ সালের এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় উপজেলায় ১১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৯১০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১৬৪ জন। গড় পাসের হার ৬৪%।
দাখিল মাদ্রাসা পর্যায়ে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে ৩১৭ জন পাস করেছে। গড় পাসের হার ৪৯% হলেও কোনো শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি।
দুইটি দাখিল মাদ্রাসা—ধাপেরহাট ইউনিয়নের তিলপাড়া তফেজন নেছা দাখিল মাদ্রাসা (১৩ জন অংশগ্রহণকারী) এবং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দাখিল মাদ্রাসা (৮ জন অংশগ্রহণকারী)—থেকে কেউই উত্তীর্ণ হয়নি।
এই ফলাফল নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে উপজেলার ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩ হাজার ৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, এর মধ্যে ২ হাজার ১৮ জন পাস করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৭ জন। গড় পাসের হার ৬৬.০৬%।
কারিগরি (ভোকেশনাল) শিক্ষায় মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানে ৭৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে ৫৭৫ জন উত্তীর্ণ হয় এবং ২৭ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। এ ধারায় পাসের হার সবচেয়ে বেশি—৭৬.৯৭%।
গত বছরের তুলনায় এ বছর সাদুল্লাপুরে গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার কমেছে। ফলাফলের এ অবনতিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহলে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
উপজেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—
সাদুল্লাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: ২৩ জন
খামার দশলিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়: ২২ জন
ধাপেরহাট বিএমপি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়: ১১ জন
ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তা
রা বলেন, অবিলম্বে দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোতে একাডেমিক তদারকি ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ইএইচ