যশোরের অভয়নগরে দেশের স্বনামধন্য আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের অফিস ও বাসভবনে ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াপাড়া নৌবন্দর কেন্দ্রীক ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা যশোর-খুলনা মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন।
নোয়াপাড়া সার-সিমেন্ট-খাদ্যশস্য ও কয়লা ব্যবসায়ী সমিতি, মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ও ট্রাক ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে নোয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নোয়াপাড়া সার-সিমেন্ট-খাদ্যশস্য ও কয়লা ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল খান সভাপতিত্ব করেন।
বক্তারা জানান, গত ১৮ জুলাই ভোর রাতে চার দুর্বৃত্ত নোয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজার এলাকায় নোয়াপাড়া গ্রুপের অফিস ও বাসভবনে ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলা চালায়। পরিকল্পিত এই হামলায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, চার যুবক বোমা নিক্ষেপের পর দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বক্তারা আরো বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে নোয়াপাড়া নৌবন্দরকে অচল করার পাশাপাশি রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, নোয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্যা, জেলা বিএনপির সাবেক নেতা মশিয়ার রহমান, সার-সিমেন্ট ও কয়লা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ জালাল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রবিউল হোসেন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি কাজী গোলাম ফারুক, নোয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম. মুজিবর রহমান, বিএনপি নেতা সরোয়ার মোস্তাফিজ মিলন, কামাল হোসেন, আতাউর রহমান, নোয়াপাড়া গ্রুপের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা মাসুদ রানা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যবসায়ী নেতা শেখ আসাদুল্লাহ ও নূর আলম পাটোয়ারি।
ইএইচ