“এক দফা এক দাবি, ভিসি তুই কবে যাবি?”, “বারে বারে মামলা, এবার গদি সামলা”, “ক্যাম্পাস আমার গোল্লায় যায়, ভিসি কেন ঢাকায় রয়”—এমন নানা স্লোগানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরিমনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, শাটডাউন চলাকালে পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে, তবে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, পরিবহন, মেডিকেল, ও লাইব্রেরি সেবা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে, রোববার (১১ মে) শিক্ষার্থীরা সকল বিভাগের শিক্ষকদের কাছে খোলা চিঠি প্রদান করেন এবং রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও মহাসড়কে মশাল মিছিল করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, “আমরা ইতোমধ্যে ২৫টি বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সকল শিক্ষকের কাছে আমাদের দাবি সম্বলিত খোলা চিঠি দিয়েছি। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, “আমাদের চলমান আন্দোলন এখন এক দফায় উপনীত হয়েছে—অপেশাদার, মামলাবাজ, অযোগ্য উপাচার্যের পদত্যাগ। ইতোমধ্যে চলমান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ব্যতীত সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, “সরকার এখনও আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। তাই ১২ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা করা হলো।”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, “উপাচার্য যদি অতিসত্বর পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি ও উপাচার্যের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সাড়া দেননি বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগানো, সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান কর্মসূচি, মহাসড়ক অবরোধ, ও মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ইএইচ