বাড়ছে না ক্যাডার পদ

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ প্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিকেলে কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে প্রায় ৪০০টি অতিরিক্ত ক্যাডার পদ যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল পিএসসি। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তবে উপদেষ্টা পরিষদ সেই প্রস্তাব অনুমোদন না করে তা নাকচ করে দেয়। ফলে ৪৪তম বিসিএসে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা ১ হাজার ৭১০টি পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।

পিএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উপদেষ্টা পরিষদ অতিরিক্ত পদের অনুমোদন না দিয়ে এগুলো পরবর্তী বিসিএসে (সম্ভবত ৪৯তম) যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছে। সে কারণে আগামী বিসিএসে তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে আবেদন করেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রার্থী। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। এরপর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রায় ৪ হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।

এই বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে—৭৭৬ জন। প্রশাসন ক্যাডারে নেওয়া হবে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০ জন, আনসার ক্যাডারে ১৪ জন, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে ৩০ জন এবং পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে ২৭ জন।

ফল প্রকাশের পর পিএসসি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। পাশাপাশি প্রার্থীদের কাছে এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমেও ফল পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যা সরকারি চাকরিতে জনবল নিয়োগের দায়িত্বে নিয়োজিত। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি সংবিধানের ১৩৭ থেকে ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। পিএসসি মেধা, যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী সুপারিশ করে।

প্রসঙ্গত, পিএসসি সবচেয়ে বড় কার্যক্রম হলো বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষা গ্রহণ। এর মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা, পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্যাডারে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষা দেশের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক ও সম্মানজনক নিয়োগ প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত।

আরএস