জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ইরান, ইসরায়েল এবং আমেরিকা যুদ্ধের পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কিত অ্যাকাডেমিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি)।
জিএসএসআরসির ডেপুটি ডিরেক্টর ড. মো. আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “শিয়া-সুন্নি বিরোধ নিরসন করে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট শিক্ষার্থীদের গভীরভাবে অনুধাবন করার উপর জোর দেন তিনি।
এসময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, “ইরান-ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ আসলে একাধিক স্তরে সংঘটিত হয়েছে—রাজনৈতিক, সামরিক ও আদর্শিক। এই সংঘাত শুধু একটি অঞ্চল নয়, গোটা বৈশ্বিক শক্তি কাঠামোকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলের কথিত সামরিক অজেয়তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ এবং ইরান এখন একটি পরমাণু শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, যার ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ার মুখে এসেছে ।”
তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়, যদি আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর কাঠামোগত দ্বন্দ্ব ও স্বার্থ সংঘর্ষকে সঠিকভাবে না বুঝি। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অগ্রগতি কিংবা রাশিয়ার নীরবতা—সবই দেখায়, বর্তমান ভূরাজনীতি একবহুমুখী শক্তির দিকে এগোচ্ছে।”
ডেপুটি ডিরেক্টর মেজবাহ-উল-আজম সওদাগরের স্বাগত বক্তব্যে আরো বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসেন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ারুস সালাম।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএস