জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পর এত বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে।’
তিনি জানান, গত বছরের নভেম্বরে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল, তখন তিনি শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। আলোচনায় উঠে আসে—কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। তবে সেই অনুযায়ী মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং নির্মাণ কাজ শুরুর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু চলমান নির্মাণ প্রকল্প অসমাপ্ত রেখে ঠিকাদার চলে গিয়েছিল। সে সময়ই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এসব কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ারও কোনো বাধা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় সুনির্দিষ্ট প্রকল্প আকারে কাজ উপস্থাপন করা হলে একনেকে দ্রুত অনুমোদন পাওয়া সম্ভব। শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিও যৌক্তিক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছে।’
উল্লেখ্য, ১৪ মে থেকে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি, পূর্ণাঙ্গ বাজেট বরাদ্দ, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণে দ্রুত বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার তদন্ত ও বিচার।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষা কার্যক্রম ইতোমধ্যেই ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই সব পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতায় সংকট নিরসনের পথ খুঁজে বের করাটাই এখন জরুরি।’
বিআরইউ