চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের ৪৯ নেতাকর্মী আটক

সিরাত মঞ্জুর প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২২, ০৬:০১ পিএম
চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের ৪৯ নেতাকর্মী আটক

চট্টগ্রামের টেরিবাজারের একটি হোটেল থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৪৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে সংগঠনটির অর্থের জোগানদাতা ও ব্যবসায়ী আবুল মনসুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। 

মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সোমবার (১৬ মে) রাত ১০টার দিকে তাদের

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন কোতোয়ালী থানা জামায়াতের আমির মো. ফরিদ আলম (৪৭), কোতোয়ালী থানা দক্ষিণ শাখা জামায়াতের প্রধান সমন্বয়কারী ফরিদ উদ্দীন (৪৪), বায়তুল সম্পাদক মো. নুরুল কবির (৬৫), দফতর সম্পাদক এমদাদ উল্ল্যাহ (৩৪), জামায়াতের রোকন সাইফুদ্দিন খালেদ (৩৫), জামায়াতের বক্সিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ জোগানদাতা আবুল মনছুর (৫০), টেরিবাজার শাখা জামায়াতের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির (৫০), টেরিবাজার কাটাপাহাড় শাখা জামায়াতের সভাপতি রাশেদুল করিম রাশেদ (৩৪), সহ-সভাপতি হাফেজ মো. তাজুল ইসলাম (৩৮), মোহাম্মদ ইসরাফিল। বাকি ৩৯ জন জামায়াতের কর্মী সমর্থক।  

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দীন জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে টেরিবাজার আল-বয়ান হোটেলে অভিযান চালানো হয়। নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় সেখান থেকে ৪৯ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।  

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা টেরিবাজারের গোপন বৈঠক করছিল। কোতোয়ালী থানা জামায়াতের আমিরসহ ১৭ জন পদধারী নেতা আছেন। আটককৃতদের মধ্যে অর্থ জোগানদাতা আবুল মনসুর পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত-শিবিরকে নানাভাবে অর্থায়ন করে আসছেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পদধারী নেতাদের আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম।

ইএফ