ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

‘বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে’

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুলাই ১৫, ২০২২, ০৬:৫৯ পিএম

‘বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশের সর্বস্তরে স্বাধীনতা বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা নগণ্য। মানুষ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে বলেই মুক্তিযোদ্ধারা আজ অবমূল্যায়িত হচ্ছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ইতিহাসও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ১২ ধরনের বারকোড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ছাপানো শেষ হয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ বিতরণ করা হবে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার করা একটি যৌক্তিক দাবি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চাকরিতে না আসতে পারলে চাকরিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য বেড়ে যাবে। জাতির লাভের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকাও করতে হবে পূর্ণাঙ্গভাবে। সংসদ ভবন এলাকা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর সরাতে হবে। এটি জাতির জন্য কলঙ্কের।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে। অনেক বলার পর ৫০ নম্বর করা হয়েছে। আমরা এখনও অনেক ব্রিটিশ আইনেই চলি। কিছু কিছু বিষয়ে এখনও নতুন আইন হয়নি স্বাধীনতার পরে।

সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহজাহান খান বলেন, বিএনপি জামাত এখন পচা ডিমের মতো হয়ে গেছে। তাদের জনসম্পৃক্ততা নেই। তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। বিএনপিকে বলব পচা ডিমে তা দিলে কোন ফল আসবে না।

তিনি বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস জানে না। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সন্তানদের ইতিহাস না শেখালে অচিরেই দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ১৮টি সংগঠন। তাদের মধ্যে ঐক্য নেই বলে কোটার দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

সম্মেলনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৬টি দাবি করা হয়। দাবিগুলো হলো-

১. নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বগাঁথা পাঠ্য বইয়ে সন্নিবেশিত করা, যাতে আগামী প্রজন্মের সন্তানরা তা পাঠের মাধ্যমে একাত্তরে নৌ-কমান্ডোদের ত্যাগ ও বিস্ময়কর সাহসিকতার ছোঁয়া পেয়ে দেশকে ভালোবাসার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়।

২. বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের জন্য ঢাকায় একটি স্থায়ী অফিসের ব্যবস্থা করে দেওয়া।

৩. নৌ-কমান্ডোদেরকে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর প্রথম প্রতিনিধি ঘোষণা করে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া।

৪. নৌ-কমান্ডোদের মাইনের আঘাতে নিমজ্জিত মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘এমভি ইকরাম’ জাহাজটি দ্রুত সংরক্ষণ করা ও ‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রটি তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা।

৫. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা সংস্কার পূর্বক পুনর্বহাল করা।

৬. মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র ও ডিজিটাল সনদপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে নৌ-কমান্ডোদের নামের পূর্বে ‘নৌ কমান্ডো’ সংযোজন করার ব্যবস্থা নেওয়া।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বীর প্রতীক শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, নৌ-কমান্ডো মীর মোশতাক আহমেদ রবিসহ নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

Link copied!