আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ৯, ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ৯, ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর যমুনা এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ‘জুলাই আন্দোলন’ সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনগুলোর অবস্থান কর্মসূচির পর দিনই এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘এ বিষয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। সকল দিক পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণও সরকার আমলে নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এরই মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত সংগঠন ছাত্রলীগকে প্রচলিত আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগও সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি মো. আবদুল হামিদের হঠাৎ দেশত্যাগ নিয়ে জনমনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা সম্পর্কে সরকার অবগত বলেও জানানো হয়। বলা হয়, ‘এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এনসিপি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। তাদের অভিযোগ—আওয়ামী লীগ অতীতে গণতন্ত্র ধ্বংস, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে যুক্ত ছিল।
সরকারের বিবৃতির পর রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে কি তবে সত্যিই এগোচ্ছে সরকার?
বিআরইউ