Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

মানুষ পুড়িয়ে মারলে ছাড়ব না

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০২:৫৪ এএম


মানুষ পুড়িয়ে মারলে ছাড়ব না

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে আবার মানুষ পুড়িয়ে মারতে চাইলে তাদের একটাকেও ছাড়ব না। আমরা সহ্য করেছি, এটাকে অনেকে দুর্বলতা বলে। এটা আমাদের দুর্বলতা না। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারার বা বোমা মারার বা গ্রেনেড মারার বা এ ধরনের অত্যাচার করতে যান তাদের একটাকেও ছাড়ব না। এটা হলো বাস্তব কথা।

বিএনপি আমলে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ওপর যে আঘাত দেয়া হয়েছে আমরা তা ভুলিনি। আমরা সহ্য করছি দেখে যেন এটা মনে না করে যে, সহ্য করাটা আমাদের দুর্বলতা। দুর্বলতা না। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গে আছে। খুনিদের সঙ্গে নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু যেভাবে তারা ওই অত্যাচারগুলো করেছিল আমরা ভুলব কীভাবে? সাধারণ মানুষ ভুলবে কীভাবে? তার ওপর তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, এটা কোনো মানুষের কাজ। জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, এটাই নাকি বিএনপির আন্দোলন!’

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ আমলের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এদেশের জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণের কল্যাণই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু অপর পক্ষে বিএনপি কী করে? তারা ক্ষমতায় আসা মানে অত্যাচার, নির্যাতন। আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন, ২০০১ এর নির্বাচনের পর কীভাবে বিএনপি এবং জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সারা বাংলাদেশে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। ১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করল, আমরা আইভী রহমানকে এবং মহিলা আওয়ামী লীগের চার নেত্রীসহ ২২ জন নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। বিএনপি-জামায়াত এত জঘন্য কাজ করতে পারে, যেটা কল্পনাও করা যায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলন করতে গিয়ে একদিকে বিএনপির লেলিয়ে দেয়া গুণ্ডা বাহিনী, জামায়াত-শিবির, আরেকদিকে পুলিশ বাহিনী আমাদের নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করেছে। রাস্তায় ফেলে কীভাবে মেরেছে, নির্যাতন করেছে, বুটের লাথি মেরেছে, তাদের ওপর অত্যাচার করেছে। এমনকি সদ্যপ্রসূত ?শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী কেউ রেহাই পায়নি। 
এভাবে তারা অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। কই আমরা তো কিছু করছি না। আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না।’

মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর সংগঠনের কার্যনির্বাহী সংসদের নতুন সভাপতি হিসেবে মেহের আফরোজ চুমকি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শবনম জাহান শিলার নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এতদিন দায়িত্ব পালন করে আসা মহিলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী সভাপতি সাফিয়া খাতুন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

Link copied!