কুষ্টিয়ার চৌরহাস থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে ফেরার পথে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ‘জনি পরিবহন’ নামে একটি বাসের হেলপারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, বাসে ওঠার সময় ২৫ টাকা ভাড়া বলে উঠলেও হেলপার তার কাছ থেকে ৪০ টাকা আদায় করেন। এ নিয়ে কথা বললে হেলপার তাকে ‘অশিক্ষিত মহিলা’ বলে গালিগালাজ করেন। এরপর মোবাইলে স্বামীকে কল দিতে গেলে হেলপার ফোনটি কেড়ে নেয়, এতে ছাত্রীর হাতে আঘাত লাগে। একপর্যায়ে ছাত্রীটি হেলপারের কলার ধরলে তিনি তাকে ঘুষি মারেন ও তার ভিডিও ধারণ করেন।
ছাত্রীর অভিযোগ, ঘটনাস্থলে থাকা কেউ প্রতিবাদ করেনি। তিনি বলেন, "আমি নারী নির্যাতন ও মানহানির মামলা করবো। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।"
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "চৌরহাস বাসস্ট্যান্ডে জনি পরিবহনের হেলপার মেয়েটির ফোন কেড়ে নিয়ে তার গায়ে হাত তোলে। আমি ছাড়া কেউ প্রতিবাদ করেনি।"
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হন এবং ‘জনি পরিবহন’ ও ‘রূপসা পরিবহন’-এর পাঁচটি বাস ক্যাম্পাসের মধ্যে আটকে রাখেন।
লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, "একজন নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন আচরণ দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। এটি শুধু আমার বিভাগের নয়, পুরো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা প্রতিনিধি পাঠাবে, এরপর সবাই মিলে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
ইএইচ