আবরার ফাহাদ আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের একটি জার্নি

কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, "আবরার ফাহাদ আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের একটি জার্নি," এবং "তার অবদান দেশের তরুণদের জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে।"

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন।

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, "আবরার ফাহাদ আমাদের সেই লড়াইয়ের প্রতীক, যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান। আবরার ফাহাদ শহীদ হওয়ার পর, দেশের তরুণরা তার থেকে জীবন দেওয়ার প্রেরণা পেয়েছে, এবং তাঁরা রাজপথে নেমেছে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। আমরা সেই লড়াই চালিয়ে গেছি, এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে পরাশক্তির প্রভাবমুক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।"

উপদেষ্টা আরও বলেন, "ফ্যাসিবাদী সরকার আবরার ফাহাদের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তবে তা সম্ভব হয়নি, কারণ যাঁরা আত্মত্যাগ করেন, তাঁদের নাম কখনো মুছে ফেলা যায় না। আজ বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করে, এবং তাঁর লড়াই আমাদের সকলের প্রেরণার উৎস।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "বর্তমানে ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। দেশে বিভক্তি সৃষ্টির জন্য কিছু শক্তি চেষ্টা করছে, তবে আমাদের সরকার এ ধরনের প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করবে।"

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে ভারত-বাংলাদেশ পানি চুক্তি এবং অসম চুক্তির বিরোধিতায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে।

ইএইচ