Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫,

মিঠাপুকুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনে অনিয়মের অভিযোগ

রুবেল হোসাইন সংগ্রাম, মিঠাপুকুর

রুবেল হোসাইন সংগ্রাম, মিঠাপুকুর

জুলাই ১৮, ২০২২, ০২:৫০ পিএম


মিঠাপুকুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনে অনিয়মের অভিযোগ

মিঠাপুকুরের ১১ নং-বড়বালা ইউনিয়নের তরফবাহাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০ বছর আগে রোপনকৃত প্রায় অর্ধশতাধিক ইউক্লিপটাস সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, স্থানীয় লোকজন এবং অভিভাবকবৃন্দ। এ নিয়ে রোববার (১৭ জুলাই) বিকালে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। 

সরেজমিনে তরফবাহাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০/২৫ টি কর্তনকৃত গাছ এবং অর্ধশতাধিক গোলাই বিদ্যালয়ের মাঠে পড়ে আছে। শ্রমিকদের গাছের গোলাই কর্তন আটকে দিয়ে জনগন কাগজ পত্রাদি বুঝার চেষ্টা করছে। 

বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন একটি নিলামের কাগজ দিয়ে এলাকাবাসীকে জানান, তিনিও বিষয়টি ভালোভাবে জানেন না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি তাদের পরামর্শ দিয়ে সটকে পড়েন।

তার দেয়া কাগজটিতে দেখা যায়, গত- ৬ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত ৩৮টি গাছ নিলামে রুপন নামে এক ঠিকাদারকে কর্তনের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করেন। ঠিকাদার রুপন সাব ঠিকাদারের কাছে গাছগুলো বিক্রি করলে ইতিমধ্যে পড়ে থাকা গাছসহ অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন করায় এবং আরো গাছ কর্তন করতে চাইলে এলাকাবাসী তা আটকে দেয়। 

এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগের কাগজে গাছের পরিসংখ্যানে একটু ভুল হয়েছিল তাই সংশোধনী কাগজ পাঠানো হয়েছে। 

এর কিছুক্ষণ পর প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মুঠোফোনে জানান, নতুন নিলামের কাগজটি পাঠানো হয়েছে আপনারা একটু দেখেন এবং এলাকাবাসীকে বোঝান। পরে ঠিকাদার রুপন নিলামের কাগজ নিয়ে আসলে দেখা যায় ৮৮ টি গাছের টেন্ডার হয়েছিল এবং তিনি ৮৮টি গাছ কর্তন করবেন।

এতে স্হানীয় আব্দুল বারী, সুজন, রশিদ, আরিফুল সহ শতাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ৮৮টি গাছ নেই, তবে পরবর্তীতে কিভাবে ৮৮ টি গাছ নিলাম হয়েছে। একটি গাছের দাম খুব কম করে ১০/২০ হাজার হলে কিভাবে মাত্র ৪ লক্ষ বিশ হাজার টাকায় এই নিলাম হয়। কাগজ দু-রকম হওয়ায় তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন। 

স্হানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার ভূমি রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ রিপোর্ট লেখা অবধি গাছ নিয়ে চরম উত্তেজনা চলমান আছে।

Link copied!