ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বন্ধুদের টাকা ধার দিয়ে ধারের টাকা তুলতে হালখাতা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম

বন্ধুদের টাকা ধার দিয়ে ধারের টাকা তুলতে হালখাতা

বন্ধুদের ধার দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আয়োজন করা হয় হালখাতা। তবে দিন শেষে ধার দেওয়ার অর্ধেক টাকা উত্তোলন হয়নি ওই ব্যক্তির।

ঘটনাটি বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এলাকার। ওই এলাকার এমএএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল তার বন্ধুদের বিভিন্ন সময় টাকা ধার দেন কিন্তু সেই টাকা সময় মতো ফেরত দেননি তার বন্ধুরা। এরপর ধারের টাকা সময় মতো তুলতে না পেরে হালখাতার আয়োজন করেন তিনি। এই হালখাতার আয়োজনের দিন তারিখ ঠিক করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেনাদারদের চিঠি দেন। সেই চিঠিতে দেওয়া নির্ধারিত দিন ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হালখাতার আয়োজনে কোনো প্রকার কমতি ছিল না। আন্ধারীঝাড় বাজারের সিঙ্গাড়া হটস্পট নামের একটি দোকানে আয়োজন করা হয় এই হালখাতা। এ হালখাতা উপলক্ষে রঙ্গিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয় দোকানটি। পাতা হয় চেয়ার টেবিল। ক্যাশ বাক্সের সামনে সাঁটানো হয় শুভ হালখাতার ব্যানার। ধারের টাকা পরিশোধে আসা ব্যক্তিদের আপ্যায়ন করা হয় মাংস বিরিয়ানি দিয়ে।

প্রতিজনকে দেওয়া হয় প্যাকেট আকারে। কেউ খেয়ে গেছেন আবার কেউ নিয়ে গেছেন। টাকা পরিশোধের পর খাতা থেকে নাম কাটা গেছে তাদের।

এই হালখাতায় আমন্ত্রিত ছিলেন শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের বন্ধু-বান্ধব যারা তার নিকট থেকে ধার গ্রহণ করে ছিলেন। এছাড়া এ হালখাতা দেখতে উপস্থিত ছিলেন উৎসুক জনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।

হালখাতায় টাকা পরিশোধ করতে আসা সোলাইমান ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষক আউয়ালের কাছে ৩ হাজার টাকা হাওলাত নিয়ে ছিলেন। হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও আজ হাল খাতা করলাম। বিরিয়ানি খেয়ে দেয়ে ধারের টাকা পরিশোধ করেছি।

জব্বার মিয়া জানান, সাড়ে ৬ হাজার টাকা ধারে নিয়ে ছিলাম কয়েক মাস আগে মেয়ের স্কুলে ভর্তির জন্য। আজ হালখাতায় পরিশোধ করলাম। বিষয়টা ভালো লেগেছে। এতে ঋণ মুক্ত হলাম।

একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ারুল হক জানান, আউয়াল মাস্টারের মন অনেক বড়। তিনি বন্ধু বান্ধবদের টাকা ধার দিয়ে আনন্দ পান। সেই টাকা তোলার জন্য আজ হালখাতার আয়োজন করেছেন। বিষয়টি নেগেটিভলি না নিয়ে পজিটিভলি নেওয়া দরকার। কারণ ধার নিয়ে মানুষ এখন দিতে চায় না। সেটা তোলার জন্য এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় তাকে ধন্যবাদ।

শিক্ষক আউয়াল জানান, দীর্ঘদিন যাবত ধার দেওয়া টাকা তোলার জন্য তিনি হালখাতার আয়োজন করেছেন। হালখাতার চিঠি পেয়েই অনেকে সঙ্গে সঙ্গেই টাকা পরিশোধ করেছেন। শুক্রবার হাল খাতার দিন অনেকে টাকা পরিশোধ করেছেন। আবার অনেকে আসেনি।

তিনি আরও জানান, ৩৯ জনকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদের মধ্যে ১৯ জন এসেছেন। মোট দেড় লাখ টাকা উঠেছে। এখনো দুই লাখের মতো টাকা উঠাতে পারি নাই।

আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মণ্ডল হালখাতার আয়োজন দেখতে এসে জানান, ধার বা হাওলাত সমাজের একটি চিরাচরিত নিয়ম। মানুষ যতদিন থাকবে ততদিন এই পন্থা থাকবে। তবে হাওলাত নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আজকে হাওলাতের টাকা তুলতে হালখাতা করতে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশে এর আগে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। ডিজিটাল সময়ে ডিজিটাল বিষয়। তবে হাওলাতের টাকা সময় মতো ফেরত দেওয়া উচিৎ।

আরএস

Link copied!