Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

যেন ইফতার-সেহরি উৎসব

বাবরের মাঝে ফিরলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম ব্যুরো

মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম


বাবরের মাঝে ফিরলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যেন দ্বিতীয় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রয়াত কিংবদন্তি নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মিল পাওয়া যাচ্ছে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের মাঝে। মানব সেবায় ব্রত হয়ে দীপ্তিমান সূর্যের ন্যায় আলো দিচ্ছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে রোজাদারদের মাঝে ইফতার-সেহেরি বিতরণে নেই সীমাবদ্ধতা।

নগরের দূরদূরান্তের অসহায় ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী, রিকশা চালক দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রমজান মাসে নন্দনকানন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বাসার পাশে চলে আসেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে যেন ইফতার সেহরির উৎসব হয় নন্দনকাননে।

পবিত্র রমজান মাসজুড়ে রোজাদারদের মাঝে ইফতার-সেহেরি বিতরণ করছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুল ইসলাম বলেন, কলিজাওয়ালা নেতা ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। দ্বিতীয়জন পাবো ভাবিনি। নগরের শিল্পপতি বা কোটিপতি অনেক। মানুষকে দেওয়া খাওয়ানোর হিম্মত ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। এখন আমাদের দ্বিতীয় মহিউদ্দিন চৌধুরী পেলাম হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের মাঝে ফিরলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

ব্যবসায়ী মো. ফারুক বলেন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর নগরের মধ্যে এক সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী নেতা। তার ধ্যান জ্ঞান শুধু মানবসেবা করা। করোনাকালীন প্রতিরোধক বুথ তৈরি করে সারাদেশে এক মাইলফলক প্রভাব তৈরি করেছিলেন। সারা বছরজুড়ে কখনো অসহায় মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন। কখনো অসহায় পরিবারের হাল ধরার জন্য রিকশা বা অফেরতযোগ্য বিনিয়োগ দিচ্ছেন। জীবন বাঁচতে হাসপাতালে রোগীর বিল দিচ্ছেন। একটি সমাজের পরিবর্তনের জন্য যখন যেখানে যা প্রয়োজন তা করে যাচ্ছেন বাবর।

নগর আওয়ামী লীগের নেতা রিটু দাশ বাবলু বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে অন্ততপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও নিশ্চিত একজন সংসদ সদস্য হতে পারতেন তিনি। কিন্তু কোন পদ বা ক্ষমতার লোভ তার লোম পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর অতন্দ্র প্রহরী ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী পরিচয় দিতে গৌরববোধ করেন।

আমার সংবাদের সঙোগ কথা বলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। প্রশ্ন করা হয় কেন আপনার এই মানবতার কর্মযজ্ঞ? জবাবে তিনি বলেন, আজ না হয় কাল সবাইকে চলে যেতে হবে। অর্থ সম্পদ সাথে যাবে না। যদি নিয়ে যেতে হয় অর্জিত অর্থ-সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের দোয়া।

রমজান মাসজুড়ে ইফতার সেহরি বিতরণে লাখ লাখ টাকা খরচের যোগানে সমস্যা হয় কিনা। এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এ পর্যন্ত হয়নি।

আগামীতে নগরপিতা বা জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরের মহানায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হয়ে থাকতে চাই। তবে জনপ্রতিনিধি হলে আরও ব্যাপকভাবে মানবকল্যাণে কাজ করা সহজ হয়।

আপনার চাওয়া কি? জবাবে তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় নগরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মানুষের কল্যাণে কাজ করে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া।

ইএইচ

Link copied!