নাটোরে আম সংগ্রহ শুরু

নাটোরে গোপালভোগ জাতের আম পাড়ার মাধ্যমে মৌসুমের আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের কামারদিয়ার এলাকায় শাহা আলমের আমবাগানে আম পাড়া দিয়ে এই মওসুমের আম সংগ্রহ শুরু হয়।

আম সংগ্রহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) লুৎফুন নাহার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আকতার হোসেন, রাজাপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বদিউজ্জামান প্রমুখ।

আম বাগানের শ্রমিক রফিকুল ও সায়েদুল বলেন, আমের সিজনে তারা প্রতিদিন ১ হাজার টাকা মজুরি নিয়ে আম পাড়ার কাজ করেন।

আম চাষি শাহা আলম বলেন, এবছর তীব্র খরায় আমের মুকুল শুকিয়ে ঝড়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে গাছে পর্যাপ্ত পানি ও স্প্রে-র ব্যবস্থা করার পরেও আম কম ধরেছে।

এ বছর ২ বিঘা গোপালভোগ আমের বাগান বিক্রি করেছি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। অথচ গত বছরে এই বাগান বিক্রি করেছিলাম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সেচ, সার কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করতে হয়েছে। আবার শ্রমিক খরচও বেশি লেগেছে। অথচ খরচ অনুপাতে বাগান বিক্রি করে তেমন লাভ হয়নি।
আহম্মেদপুর আড়তের আম ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান রউফ বলেন, এবার খরার কারণে আম উৎপাদন কম হয়েছে। যেখানে আমার আড়তে দিনে ১৫০-২০০ মণ আম আমদানি হয় সেখানে এবার আঁটির আম ৬০-৭০ মণ করে আমদানি হচ্ছে।

যেহেতু আজ থেকে গোপালভোগ আম পাড়া শুরু হয়েছে দিন শেষে বুঝতে পারবো উৎপাদন কেমন হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় নাটোরে অনেক গাছে আম কম ধরেছে। তীব্র দাবদাহের সময়ে কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়তই আম চাষীদের আম বাগানে প্লাবন সেচ, বেসিন বাডিঙ বা সকালে বিকালে স্প্রের মাধ্যমে আম গাছে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে তিনি বলেন, আমের উৎপাদন কম হলেও বাজারে আমের দাম বেশি হওয়ায় আমচাষী লাভবান হবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ৫ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আর গত বছরে আম উৎপাদন হয়েছিল ৭৭ হাজার ১৩২ মেঃ টন।

বিআরইউ