ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভেঙে গেছে ৭২ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভেঙে গেছে ৭২ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মেঘনা নদীতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবাধে বালু উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ। ইজারার শর্ত অনুযায়ী ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও সেখানে প্রায় শতাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধের ৫০ ফুট এলাকা জুড়ে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীর তীরবর্তী গ্রামের মানুষজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো নদী গর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষায় ২০১৮ সালে সোনাবালুয়া ঘাট থেকে এমপি টিলা পর্যন্ত ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পাউবো।

মেঘনার জাফরাবাদ মৌজার নতুনচর এলাকায় ৩২ একর দীর্ঘ একটি সুনির্দিষ্ট সীমানায় বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মুন্সী এন্টারপ্রাইজ  এই বালু মহালের ইজারা পায়। ইজারার শর্ত ভঙ্গ ও সীমানা অতিক্রম করে দিনে ও রাতে বালু উত্তোলন করছেন মুন্সী এন্টারপ্রাইজ নামের এই প্রতিষ্ঠান। এতে করে নদীর তীরবর্তী সোনাবালুয়া ঘাট, এমপি টিলা, নুরজাহানপুর, ঈদগা মাঠ ও কবরস্থানসহ নদী পাড়ের গ্রামগুলো নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়া বলেন, সীমানার বাইরে এসে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পরেছে। "হেরাই ভাঙে আবার হেরাই ভরে, প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে হেরা বালু উত্তোলন করে" এভাবে চলতে থাকলে নদীর পাড়ের গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বালু মহালের কেয়ারটেকার ছাদেক মিয়া জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালু মহালের পক্ষ থেকে ৬৫ ট্রলি কংক্রিট দিয়ে কিছু অংশ ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আবু মুসা জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা দেয়া হয়েছে, যদি ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে অধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আরএস

Link copied!