হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
হবিগঞ্জ শহরে বাংলা মদের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঘটনাটি নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরেও বিরাজ করছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে এখনো মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন—চৌধুরী বাজারের চায়ের দোকানের কর্মচারী অপু দাস (৩৭), সেলুন ব্যবসায়ী রতন শীল (৫৫), একই এলাকার চা-স্টল ব্যবসায়ী নিকুঞ্জ দাস (৪৬) এবং উমেদনগর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া (৫৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুলাই চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশের সুইপার কলোনি থেকে কয়েকজন ব্যক্তি বাংলা মদ সংগ্রহ করে পান করেন। এরপরই ওই চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় তাদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতেই প্রথমে মারা যান জাহাঙ্গীর। পরদিন ১৭ জুলাই মারা যান বাকি তিনজন। তাদের মধ্যে কেউ হৃদরোগে, কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত বলে হাসপাতালের ভর্তি কাগজে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, “নিহতদের মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। পরিবারগুলো ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখে দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করেছে। কারও মৃত্যুর ঘটনায় মদ্যপানের প্রমাণ পেলে অবশ্যই ময়নাতদন্ত করানো হতো। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সুইপার কলোনি এলাকায় অবৈধভাবে বাংলা মদ তৈরি ও বিক্রি হয়ে আসছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চললেও কার্যকর কোনো অভিযান বা ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এতে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ‘বাংলা মদের’ গোপন আস্তানা। এসব মরন নেশা বিক্রি করে অনেকেই রাতারাতি বড়লোক বনে গেছেন। ধ্বংস হচ্ছে উঠতি বয়সের একটি শ্রেণি। তাই দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এদিকে সচেতন মহলের দাবি, এ ধরনের মৃত্যুর পুনরাবৃত্তি রোধে এখনই অবৈধ মদ উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো জরুরি।
ইএইচ