দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু সাঈদের। দলীয় সমাবেশে অংশ নিতে যাওয়ার পথে ফরিদপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
রোববার মরহুমের কবর জিয়ারত করতে দাকোপে আসছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আমির ড. শফিকুর রহমান।
শনিবার আসরের নামাজ শেষে মরহুমের কর্মস্থল চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে তার জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমরান হোসাইন, দাকোপ-বটিয়াঘাটা (খুলনা-১) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ, খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব আমির এজাজ খান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা গাউসুল আজম হাদী, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবু রব, দাকোপ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অজিহুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক অহিদুজ্জামান, মো. বেলাল হোসেন এবং শেখ ইউনুস আলী টিটু।
এ ছাড়া জানাজায় অংশ নেন দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমত হোসেন, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলামসহ জামায়াত, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম এবং উপজেলা ইমাম পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
জানাজা শেষে মরহুমকে গোড়কাটি চালনা পৌরসভা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজার মাঠেই দলীয়ভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়, আজ রোববার দুপুর ১টায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ড. শফিকুর রহমান মাওলানা আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের জন্য দাকোপে আসবেন।
উল্লেখ্য, দলীয় মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার রাতে দাকোপের নেতাকর্মীদের গাড়িবহর নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় এলাকায় যাত্রাবিরতির সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির বাস থেমে থাকা গাড়িবহরে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুটি গাড়ির মাঝে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মাওলানা আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
ঘটনায় উপজেলা জামায়াতের আরও দুই কর্মী—মো. আনিসুর রহমান ও মো. কামাল হোসেন গুরুতর আহত হন। তাঁদের তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাওলানা আবু সাঈদ মৃত্যুকালে স্ত্রী, চার কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক এবং বিল্লালিয়া দারুস সালাম জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ইএইচ