ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

তথ্য-উপাত্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনামহানি হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

মে ৭, ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম

তথ্য-উপাত্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনামহানি হয়েছে

তথ্য-উপাত্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনামহানি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ অর্থনীতিবিদের আশঙ্কা, আমদানি তথ্য নিয়ন্ত্রণ করা হলেও, এ তথ্য ব্যবসায়ী গোষ্ঠী পেলে বাজারে সিন্ডিকেট হওয়ার সুযোগ আছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে প্রয়াত সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণ ও ‘ব্যাষ্টিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

এ অর্থনীতিবিদ বলছেন, আমাদের কারিগরি সক্ষমতা থাকায় এখন ইউটিউবকেও ধীর করে দেওয়া যায়। এভাবে এই প্ল্যাটফর্মটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। একই ভাবে তথ্য-উপাত্তের সঞ্চালনকেও ধীর করে দেওয়া যেতে পারে। যা দুই মাস আগে পাওয়ার কথা তা আমি এক বছর পর আপনার হাতে দেবো। তাহলে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করার সুযোগ হবে না।

আমদানির তথ্য শুধু ব্যবসায়ীরা পেলে তাতে সিন্ডিকেট হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যদি এমন হয় আমদানির তথ্য পণ্য অনুযায়ী আপনি পাচ্ছেন না। আর এটি গুটিকয়েক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যারা আমদানি করছেন তারা যদি পায়, সিন্ডিকেট কাকে বলে বুঝেছেন। আপনি তথ্য-উপাত্তকে নিয়ন্ত্রণ করছেন জনমানুষের কাছে। বাজারে যেতে দিচ্ছেন না। কিন্তু আমদানিকারক সেই তথ্য পেয়ে যাওয়া মানে বাজারে তার সুবিধা বেড়ে গেলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মাধ্যমে একধরনের বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে করেন দেবপ্রিয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে একধরনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তা হলো ওই তথ্য-উপাত্ত এমন তা যদি জনসম্মুখে প্রকাশ পায়, তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হবে। সেই নাশকতাকারীরা হলো অর্থনীতি সাংবাদিকেরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক একসময় তথ্য-উপাত্তের জগতে শক্তিশালী স্তম্ভ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত তাৎক্ষণিক ও সমসাময়িক ছিল, বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল। ইপিবি, অর্থ মন্ত্রণালয় ইত্যাদির তথ্যের চেয়েও অনেক বেশি নির্ভরশীল ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে। বিবিএসের তথ্য আসার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অনেক অনুমান ও প্রাক্কলন তৈরি করেছি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নিজেকে সংযত ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনামহানি হয়েছে। আমি জানিনা এ নিয়ন্ত্রণ ব্যাংকের বোর্ড করেছে কি না, নাকি উনারা নির্দেশিত হয়েছেন আরও উচ্চ পর্যায় থেকে। কিন্তু এটার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনাম যেটা ছিল তার হানি ঘটবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএস

Link copied!