ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

‘স্মার্ট হেলথ কেয়ার ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম

‘স্মার্ট হেলথ কেয়ার ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্টদের ভাতা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ ও ‘স্মার্ট হেলথ কেয়ার ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।  

বুধবার সকাল ১১টায় (১৩ ডিসেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৫তম তলার অডিটোরিয়ামে এ  অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। এতে কী নোট স্পিকার ও সভাপতি হিসেবে ‘স্মার্ট হেলথ কেয়ার ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবাসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অতীতের তুলনায় অনেক  উন্নত হয়েছে। দেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।

এখানে কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট, টেস্টটিউব বেবীর জন্মদান, জোড়া শিশুর আলাদা করাসহ জটিল জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি টাকার কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩ লাখ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজও চিকিৎসাসেবায় সুনাম অর্জন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, যদিও গত ৫ বছর ডেঙ্গু মোকাবিলায়, করোনা মোকাবিলায় কেটে গেছে, তারপরেও সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবাখাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় অনেক উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে বাংলাদেশ ৫ম স্থান অধিকার করেছে। ইপিআই কর্মসূচীতে সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র কালাজ্বর মুক্ত দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে জেলাগুলোতে শতাধিক ও উপজেলা গুলোতে পাঁচ শতাধিকসহ সর্বমোট ৬ শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসকদেরকেই সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমরা সবাই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলি সেই কথা যেনো ভুলে না যাই।

উপাচার্য অধ্যাপক  ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার শাসন আমলের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই প্রায় ৪ শতটি হেলথ কমপ্লেক্স চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে এই প্রতিষ্ঠানে রক্ত পরিঞ্চালন কেন্দ্র চালুর সময় রক্ত নিয়ে গবেষণার কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও গবেষণার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ণয়ক এন্টিবডি নির্ধারণ, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের মান ও ক্ষতিকর উপাদান চিহ্নিত করাসহ শত শত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও দেশেই চিকিৎসাসেবা নিতে পছন্দ করেন। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের রোগীরা যাতে চিকিৎসাসেবার জন্য দেশের বাইরে না যায়। সে লক্ষ্য পূরণে দেশেই সকল ধরণের জটিল চিকিৎসা স্বল্প ব্যয়ে নিশ্চিত করার কাজ চলছে। তবে এ লক্ষ্য পূরণে অবশ্যই প্রয়োজনে দক্ষ জনবল সুনিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু স্বপ্নের কথা বলেন না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে জানেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্মার্ট হেলথ কেয়ারসহ স্মার্ট বাংলাদেশও তার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. রনজিত কুমার সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণ, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট চিকিৎসক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এইচআর

Link copied!