৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন পাথরঘাটার হাজারো জেলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—সাগরে ইলিশ থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাল ফেলাই সম্ভব হয়নি। ফলে খালি হাতে ফিরে এসেছেন বেশির ভাগ জেলে।
সমুদ্র উত্তাল থাকায় গত বছরের মতো এবারও ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েনি। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন শুধু জেলেরা নন, বিপাকে পড়েছেন ট্রলার মালিকরাও। পাথরঘাটা উপজেলার অধিকাংশ পরিবার মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। মাছ না থাকায় এসব পরিবারে এখন দু’বেলা খাবার জোগাড় করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএফডিসি পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছের ঘাটতি এখন চোখে পড়ার মতো। ঘাটে প্রতিদিন ট্রলার ভিড়লেও নামছে না তেমন মাছ। বাজারে তাই ইলিশের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া।
বর্তমানে বাজারে ১.৫ কেজি ওজনের ইলিশ মনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ লাখ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ইলিশ ৫৫ হাজার টাকায়। জাটকা ইলিশের মনপ্রতি দাম ২০-২৫ হাজার টাকা।
স্থানীয় জেলে এমাদুল মাঝি বলেন, সাগরে ঢুকে জাল ফেলতেই ঝড়ে ছিঁড়ে যায়। পরে খালি হাতে ফিরতে হয়। লোকসানে ডুবে আছি।
বিএফডিসির এক ব্যবসায়ী জানান, মাছের সরবরাহ নেই, তাই দাম দ্বিগুণ। মাছের অভাবে বিক্রিও কমে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন, সাগরে প্রচুর ইলিশ রয়েছে, কিন্তু আবহাওয়া বিপজ্জনক। পরিস্থিতির উন্নতি হলে মাছ ধরা শুরু হবে।
এদিকে জেলেদের দাবি, সংকট কাটাতে দ্রুত আর্থিক সহায়তা ও স্বল্পমূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন।
সংকট নিরসনে জেলেদের সহায়তা ও টেকসই সমাধানের দাবি উঠেছে সব মহল থেকেই।
বিআরইউ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
