জাবিতে ভোক্তা অধিকারের সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা

মোসাদ্দেকুর রহমান, জাবি  প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম
জাবিতে ভোক্তা অধিকারের সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা

জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও কনশাস কনজ্যুমার্স সৌসাইটির সহযোগিতায় ‘ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে প্রায় তিনশত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর দেড়টায় সার্টিফিকেট প্রদানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় কর্মশালা।

কনসাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। 

কর্মশালায় ভোক্তা অধিকার, ভোক্তার দায়িত্ব, খাদ্যে ভেজালের ব্যবহার, ক্ষতিকারক কেমিক্যালের ব্যবহার- এসব ব্যবহারে স্বাস্থ্য ও আর্থিক ক্ষতি, প্রতিরোধের উপায়, ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার ও বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক , প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব এ. এইচ . এম সফিকুজ্জামান।

প্রধান আলোচকের বক্তব্য এ .এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা সবাই ভোক্তা । ভোক্তাদের রয়েছে ভোগ করার অধিকার। অথচ আমরা সেই অধিকারের কথা ভুলেই গেছি। ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতেই আজকের এই সেমিনারের বিশেষ লক্ষ্য। 

অধিকার সংরক্ষণে আমাদের আভিযান নিয়মিত চলছে। আমাদেরও বেশ কিছু কিছু দূর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হলো ফিল্ড পর্যায়ে আমাদের শক্তিশালী সোর্চ বা ইনফরমার না থাকা । এজন্য আমরা দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করছি যেন তাদের গোয়েন্দা সোর্চ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমাদেরকে অবহিত করে। 

এছাড়া যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে তাদের তথ্য গুলো আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ- উপাচার্য মনজুরুল হক বলেন, কোন দ্রব্য কেনার আগে সঠিক দ্রব্য, দাম, মান যাচাই বাছাই করার অধিকারকেই বলা হয় ভোক্তা অধিকার।

মনে রাখতে হবে আমরা সবাই ভোক্তা। একজন ভোক্তার ভোগ করার যে অধিকার গুলো আছে তা আমরা জানতে চাই। ভোক্তা অধিকার সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হলে সুষ্ঠু সমাজ গড়ে উঠবে। রাষ্ট্রের যেমন দায়িত্ব রয়েছে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের ঠিক তেমনি ভাবে ভোক্তাদের ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। গণসচেতনতা সৃষ্টিতে এধরনের সেমিনার খুবই ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সমাপনী বক্তব্যে আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার শুরু হলো। দেশের শিক্ষার্থীরা যদি তাদের অধিকার সম্পর্কে এখন থেকেই সচেতন হয় তাহলে আগামীতে তাদের হাত ধরেই এই সমস্যার সমাধান ঘটবে বলে মনে করি।