গণতান্ত্রিক দল হয়ে আ. লীগ কেন গণতন্ত্র হত্যা করছে, প্রশ্ন মঈন খানের

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩, ০৮:০০ পিএম
গণতান্ত্রিক দল হয়ে আ. লীগ কেন গণতন্ত্র হত্যা করছে, প্রশ্ন মঈন খানের

আওয়ামী লীগ দুইবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতান্ত্রিক দল, তাহলে এদেশের তারা গণতন্ত্র কেনো হত্যা করছে।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে হয়েছে, জিয়াউর রহমান সৈনিক ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল নাকি ক্যান্টমেন্টের দল।’ তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম বিএনপি জন্ম ক্যান্টনমেন্টে, যদিও সেটা বাস্তব সত্য নয়। আওয়ামী লীগের জন্মত ক্যান্টনমেন্টে নয়, যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দল বলে দাবি করে, তারা কেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করছে? স্বাধীনতার পর বাকশাল করে একবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, আবার এখন গণতন্ত্র হত্যা করেছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উপর ‘রণাঙ্গনে জিয়া’ প্রামাণ্য চিত্র উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।

মঈন খান বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এমন একটি সময়ে যখন সারাদেশের মানুষ দিশেহারা। দিশেহারা মানুষদের সামনে তিনি কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি শুধু ঘোষাণা দিয়েই থেমে যাননি, সম্মুখে যুদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, দেশে নতুন করে আবার বাকশাল কায়েম হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি বৈষম্য দূর করার জন্য, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আজকের সরকার যদি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে থাকে তাহলে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিলো কেনো? আজকের নতুন করে আমাদের এই প্রশ্নগুলো করতে হবে, তুলে ধরতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্র বিদায় করেছে। দেশের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে- তাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যারা ধনী তাদের কথা আলাদা, কিন্তু যে মানুষ মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন পান তাদের সংসার চলছে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবশ্যই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রিসার্চ সেলের আহ্বায়ক  সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিশ চিমকি, রণাঙ্গনে জিয়া প্রামাণ্য চিত্রের লেখক ও সিনিয়ার সংবাদিক আমিনুল ইসলাম কাগজি, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

এআরএস