ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
রিজভী

পুলিশ আক্রমণাত্মক হয়ে মাত্রাতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ করেছে

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ৩০, ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম

পুলিশ আক্রমণাত্মক হয়ে মাত্রাতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ করেছে

২৮ অক্টোবরে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ আক্রমণাত্মক হয়ে মাত্রাতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রেজভী ।

আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন , ওইদিন একটি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের অনুগত রাজনৈতিক পুলিশ বাহিনী। যে বিপুল গণজোয়ার ঢাকার পথে আসতে শুরু করে তা বাঁধা দেবার জন্য তারা সারা দেশব্যাপী ধরপাকড় শুরু করে। ঢাকার প্রবেশপথ গুলোতে পুলিশ চেক-পোস্ট বসিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মোবাইল চেক করা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মী পরিচয় জানলেই নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকায় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে ও বাড়িতে রাতের গভীরে হামলা চালিয়ে আটক করা হয় হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গ্রেফতার-নির্যাতন সত্ত্বেও আগের রাত থেকেই মহাসমাবেশের স্থান নয়াপল্টন নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে।

তিনি আরো বলেন,সকাল থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে লাখো মানুষ নয়া পল্টনে উপস্থিত হয়। সকাল ৯ টার মধ্যেই সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে আশেপাশের এলাকাগুলো বিএনপির নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। এত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও এই অভূতপূর্ব জনসমাবেশ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে আরো ভীত করে তুলে। পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী, কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসী বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ বানচাল করে পুলিশী হামলাকে বৈধতা দেবার উদ্দেশ্যে সহিংস আচরণ শুরু করে। আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সংলগ্ন একটি গেটে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা পুলিশকে লক্ষ করেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে।

রিজভী বলেন,এমন পরিস্থিতিতে যেখানে পুলিশ বাহিনীর পেশাদারী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখা দরকার, সেখানে পুলিশ নিজেই আক্রমণাত্মক হয়ে মাত্রাতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ করা শুরু করে। যেখানে মূল জনসভার কেউ এই সহিংস ঘটনায় যুক্ত ছিলো না, সেখানে পুলিশ বাহিনী সম্পূর্ণ পূর্ব-পরিকল্পনামাফিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে জনসভায় হামলা শুরু করে। মুহুর্মুহু টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করা হয় নিরীহ ও নিরস্ত্র জনগণের উপর। পুরো কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় যুদ্ধ-পরিস্থিতির মত ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। পুলিশের লাঠি-চার্জ, রাবার-বুলেট নিক্ষেপ ও সাউন্ড গ্রেনেডে শত শত নিরস্ত্র নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ আহত হন। ন্যাক্কারজনক পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই হামলা চালানো হয় সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের গাড়িতে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর সফলতা আঁচ করতে পেরে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির বিপক্ষে গণমাধ্যম ও বিচারবিভাগকে মুখোমুখি করাতেই এই সহিংসতার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ কর্তৃত্ববাদী সরকার ও তাদের পুলিশ বাহিনী।

আরএস

Link copied!