ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বিদ্যুৎহীন ৪৫ লাখের বেশি মানুষ

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ২৪, ২০২২, ১১:৩৬ পিএম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বিদ্যুৎহীন ৪৫ লাখের বেশি মানুষ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাসে উপকূল অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। এর ফলে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ৪৫ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ঝড়ের ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিতরণ কম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।

ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।

এদিকে, আরইবির পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরইবির ২৩টি সমিতির ৪৪ লাখ ১ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাযগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু এলাকায় সরবরাহ বন্ধ থাকায় সোমবার বিদ্যুতের চাহিদা খুবই কম ছিল। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি ছিল না।

সোমবার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। আগের দিন (রোববার) বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। মঙ্গলবার ভোর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩টি জেলায় মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে। আর দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে। ১৩টি জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী। অর্থাৎ চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলোতেও, বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে আজ সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। এটা মহাবিপৎসংকেত পর্যন্ত যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষতি মোকাবেলায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ২৫ লাখ মানুষের আশ্রয়ণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।

ইএফ

Link copied!