ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ইকসাসের সংবাদ প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

মোকার্রেমা খাতুন, ইডেন কলেজ

মোকার্রেমা খাতুন, ইডেন কলেজ

আগস্ট ১, ২০২৫, ১১:৪৬ পিএম

ইকসাসের সংবাদ প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইডেন মহিলা কলেজে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে। 

কলেজ সাংবাদিক সমিতির সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারে একাধিকবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কলেজের হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাসে বরখাস্ত হওয়া অফিস সহকারী স্মৃতি ইসলামের মালামাল সরানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে লাইভ সম্প্রচারের চেষ্টা করলে বাধা দেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নয়নমণি (রুম নম্বর ২১৪), তার রুমমেট টুকটুকি এবং ৪১২ নম্বর রুমের শিক্ষার্থী ফারজানা।

স্মৃতি ইসলামকে দুই মাস আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়। সে সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং তার অনুপস্থিতিতে রুমটি সিলগালা করা হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টায় তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফোন করে দুপুর ১২টায় মালামাল সংগ্রহ করতে বলা হয়।

কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যসচিব তানজিলা আক্তার মাসুমা বলেন, “লাইভ সম্প্রচারের সময় নয়নমণি এসে আমাদের বাধা দেন এবং ভিডিও ডিলিট করতে চাপ দেন। সাংবাদিকতার কাজে এ ধরনের হস্তক্ষেপ আমাদের বিস্মিত করেছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নয়নমণি বলেন, “আমি মূলত লাইভে যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতির কথা বলেছিলাম। কেউ যদি মিথ্যা বলে, তা সরাসরি সম্প্রচার হলে ভুল বার্তা যেতে পারে—এই বিবেচনায় ডিলিট করতে বলি।”

ঘটনাকালে হল সুপার, শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও হল ভিজিল্যান্স টিম উপস্থিত ছিলেন। 

অভিযোগ রয়েছে, তাদের সামনে নয়নমণি সাংবাদিকদের উপর চড়াও হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। এমনকি শিক্ষক মোস্তারী সালেহীন সাংবাদিক সদস্যসচিবের ফোন কেড়ে নিয়ে অডিও রেকর্ড মুছে ফেলতে বাধ্য করেন।

এ বিষয়ে মোস্তারী সালেহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “অনুমতি ছাড়া অডিও রেকর্ডিং করা সঠিক হয়নি।” বিস্তারিত জানতে তিনি ক্যাম্পাসে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—“একজন সাধারণ শিক্ষার্থী কীভাবে সাংবাদিক কার্যক্রমে বাধা দেয়?” শিক্ষার্থীরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সাংবাদিকদের নিরাপদভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

ইএইচ

Link copied!