ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

তথ্য যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম

তথ্য যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের

ভুল তথ্যে রাজধানীর কাওরান বাজারের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আজ (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) হল রুমে সাধারণ ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সাধারণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমরা রাজধানীর কাওরান বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে কাওরান বাজার এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করছিলাম, এসময় আমাদের দোকানের থেকে একটু দূরে কিছু লোকের ঝগড়া করছিলো। এক পর্যায়ে মারামারি শব্দও শোনা যায়। আমরা কোন কিছু না বুঝেই ঝগড়া থামানোর জন্য সেখানে ছুটে যাই, গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ দোকান ঘর ভাগাভাগি এবং চাঁদা আদায় নিয়ে মারামারি করছে। তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করি। যাতে বিষয়টি আরও বেশি না বাড়ে। সেখানে বিবাদমান দু’টিপক্ষই অনড় অবস্থান নেয়, তারা একে ওপরের ওপর পেশিশক্তি প্রয়োগের চেষ্টাও চালায়। বড় ধরণের বি-শৃঙ্খলা এড়াতে স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জালাল আহমেদ মজুমদার উভয়পক্ষকে হট্টগোল থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে বিবাদমান দু’পক্ষের কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে উল্টো মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকেই ফাঁসিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়।

লিখিত বক্তব্যে নাসির উদ্দিন আরও জানান, স্থানী চিহ্নিত একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকে ঘেরাও করে রেখে সাংবাদিক ভাইদের খবর দেয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা একপক্ষের দেওয়া তথ্যের যাচাইবাছাই না করে মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকে চাঁদা আদায়কারী বলে ভুল সংবাদ প্রচার করে। মো. জালাল আহমেদ মজুমদার সাংবাদিকদের বারবার বুঝাতে চেষ্টা করেন তিনি সরকারি নিয়ম মোতাবেক সব ধরনের বৈধতা নিয়ে কারওয়ান বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি কোন চাঁদাবাজ নন এবং তার দু’টি দোকানের ব্যাবসায়িক কাগজপত্র ও ভিজিটিং কার্ড দেখান। কিন্তু তারা মো. জালাল আহমেদ মজুমদারের কথায় কোনো কর্ণপাত করেননি।

ঘটনাস্থলে থাকা ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা লুতু মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ ইদ্রিস, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. বোলন মোল্লা, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ, শ্রমিক লীগ নেতা মো. লুৎফর, যুবলীগ নেতা আমিরের মেয়ে আনিকা (আনিকা সাবেক কমিশনার শামীমের পিএস আলমগীরের কেশিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন) পরিকল্পিতভাবে মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকে চাঁদাবাজ হিসেবে চিত্রায়িত করতে ওঠে পড়ে লেগে যান। এরা একজোট হয়ে ঘটনার সময় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে। এসব মিথ্যা তথ্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা ভুল তথ্য তুলে ধরেন। যাতে তিনি সামাজিক ও পারিবাবিরভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন।

নাসির উদ্দিন বলেন, মো. জালাল আহমেদ মজুমদার একজন অতি সাধারণ ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন কাওরানা বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার কারণে স্থানীয় অন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। দীর্ঘদিন একটি সরকার দেশ পরিচালনার কারণে সর্বত্রই একটি দলের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কাওরান বাজারের অবস্থাও একই ছিল। আমরা ব্যবসায়ীরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্তি নিয়েছে যাতে এখানে কোনো অনিয়ম ও চাঁদাবাজি না হয়। কিন্তু এখন তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. জালাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়। যাতে ব্যক্তিগতভাবে তিনি খুবই আহত হন। ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কাওরানা বাজারে এসে সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে তথ্য যাচাইবাছাই করে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানাচ্ছি।

আরএস

Link copied!