Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫,

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মিয়ানমারের রাখাইনে করিডর স্থাপনের গুজব ভিত্তিহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২১, ২০২৫, ১১:২৮ পিএম


মিয়ানমারের রাখাইনে করিডর স্থাপনের গুজব ভিত্তিহীন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে করিডর স্থাপনের বিষয়ে প্রচারিত খবরকে ‘গুজব এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, করিডর নিয়ে বাংলাদেশের কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, “করিডর বিষয়টি একটি ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত পথ, যার মাধ্যমে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এখানে আমরা কাউকে সরাচ্ছি না। জাতিসংঘ শুধু বলেছে, আরাকানে যেহেতু অন্যান্য সাপ্লাই রুট কাজ করছে না, তাই সীমান্তসংলগ্ন এলাকা ব্যবহার করে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘ তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করবে। আমরা করিডর ইস্যুতে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা করিনি এবং করবোও না। আরাকানে বর্তমানে করিডর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তাও নেই।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রসঙ্গে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য টেকসই প্রত্যাবাসন। রাখাইনে পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে আমরা সেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারবো না। পরিস্থিতি শান্ত হলে তবেই আমরা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করতে পারবো।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের আগের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি করিডর শব্দটি উচ্চারণ করলেও পরক্ষণেই তা সংশোধন করে ‘পাথওয়ে’ বলেছেন। এটি ছিল নিছক স্লিপ অব টাং। তিনি পরবর্তীতে আর এ বিষয়ে কিছু বলেননি।”

ত্রাণ ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে তিনি জানান, “বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। সীমান্ত পার হওয়ার পর সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে জাতিসংঘের ওপর। আমরা শুধু নিশ্চিত করবো, এর মাধ্যমে যেন মাদকপাচার বা অন্য কোনো অপরাধ না ঘটে।”

চাপ বা মতপার্থক্য প্রসঙ্গে ড. খলিলুর রহমান বলেন, “সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের পূর্ণ সমন্বয় রয়েছে। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কোনো সমন্বয়হীনতা নেই। বিদেশিদের চাপের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের হিসাব খুবই স্পষ্ট—রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত যেতে হবে এবং সেটা হতে হবে টেকসইভাবে, যাতে তারা আর ফিরে না আসে।”

ইএইচ

Link copied!