ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

জয়পুরহাটে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৭ দালাল গ্রেপ্তার

গোলাপ হোসোন, জয়পুরহাট

গোলাপ হোসোন, জয়পুরহাট

মে ১৪, ২০২২, ০৮:০৯ পিএম

জয়পুরহাটে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৭ দালাল গ্রেপ্তার

জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ আভিযানিক দল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৭ জন দালালকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-দালাল চক্রের প্রধান কাওছার এবং সাত্তারের সহযোগী দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য কালাইয়ের থল এলাকার মৃত সিরাজের ছেলে সাহারুল (৩৮), উলিপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন চপল (৩১), জয়পুর বহুতী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৫৪), ভেরেন্ডি গ্রামের জাহান আলমের ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৫),  জয়পুর বহুতী গ্রামের মৃত মোবারকের ছেলে মোকাররম (৫8), দুর্গাপুর গ্রামের মূৃত বছির উদ্দিন ফকিরের ছেলে সাইদুল ফকির (8৫), ও জয়পুরহাট সদর থানাধীন হানাইল বম্বু এলাকার  মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে বর্তমন পাঁচবিবি গোড়না আবাসনের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন (৪০)।

উল্লেখিত দালাল চক্রের মধ্যে মোশাররফ হোসেন ২০০৯ সালে, শাহারুল ইসলাম ২০০৯ সালে, মোকাররম ২০০৬ সালে, সাইদুল ফকির ২০১৬ সালে তাদের কিডনি বিক্রি করে এবং ফরহাদ হোসেন চপল, সাদ্দাম, শাহারুলগণ কিডনি বিক্রয়ের জন্য ভারতে গেলেও ভয় পেয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসে।  দালাল চক্রটি এলাকার অসহায় মানুষদের প্রলুন্ধ করে ঢাকায় অবস্থানরত কাওছার ও সাত্তারের নিকট প্রেরণ করে থাকে।

শনিবার (১৪ মে) দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে জয়পুরহাট পুলিশ লাইন সভাকক্ষে পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঞা সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান। 

তিনি আরও জানান, জেলার কালাই থানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অসহায় ও গরীব প্রকৃতির লোকজনদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ দালালচক্র মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মানবদেহের কিডনি বিক্রয়ে প্রলুব্ধ করে আসছিল।

প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা পরবর্তীতে দালালে পরিনত হয় এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার নিরীহ গরীব লেকজনদেরকে” কিডনি বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে প্রথমে কিছু টাকা ধার অথবা সুদের উপর দেওয়ার কিছুদিন পরই পরিকল্পনা মোতাবেক টাকা ফেরত চান এবং টাকা ফেরত দিতে না পারলে কিডনি বিক্রয়ের জন্য বাধ্য করে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র কতিপয় অসাধু ডাক্তারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের কিডনি অপসারণ করায়। পরে নাম মাত্র চিকিৎসা শেষে তাদের হাতে এক থেকে  দুই লক্ষ টাকা দিয়ে সারা জীবনের মতো অঙ্গহানী করে দেশে পাঠিয়ে দেয়। 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই দালাল চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। এই দালাল চক্রকে সনাক্ত করার জন্য জেলা পুলিশ, জয়পুরহাট গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, সাম্প্রতিক সময়ে কালাই থানা এলাকা থেকে কয়েকজন লোক নিখোঁজ হয় এবং বর্তমানে তারা কালাই এলাকার কিডনি চক্রের প্রধান দালাল জনৈক কাওছার এবং সাত্তার এর মাধ্যমে দুবাই ও ভারতে অবস্থান করছেন।

সম্প্রতিকালে কালাই থানা এলাকার পাশাপাশি পাঁচবিবি থানা এলাকাতেও কিডনি বিক্রয়ের জন্য অসহায় গরীব লোকজনকে প্রলুন্ধ করছে মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে পাওয়া যায়। কিডনি দালাল চক্রকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ডিবি, জয়পুরহাট-এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল কালাই থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দালাল চক্রের প্রধান জনৈক কাওছার এবং সাত্তার এর সহযোগী এলাকার দালাল চক্র এবং ঘটনার সহিত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামি দালাল চক্রের সদস্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। 

আমারসংবাদ/এআই

Link copied!