ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

৭০ কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 

জুলাই ২, ২০২২, ০১:৪২ পিএম

৭০ কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক

বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ সেতুর সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ৭০ কোটি টাকায় নির্মিত সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। সেতু নির্মাণের প্রায় তিন বছরেও যান চলাচল করতে পারছে না। এতে সুবিধার বদলে দুর্ভোগ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে আড়িয়াল খাঁ নদে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নাজিরপুর ইউনিয়নের রামারপোল এলাকায় প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে।

সাধারণ মানুষের আশা ছিল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে সহজেই ঢাকা-বরিশাল যাওয়া-আসা করতে পারবে। কিন্তু সেতু নির্মিত হওয়ার প্রায় তিন বছর পরও সংযোগ সড়কের কাজ হয়নি। ফলে সেতুতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও পার হওয়া যাচ্ছে না। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতু নির্মাণের পরই নদীতে চলাচলের খেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বালুর বস্তা ও কংক্রিট ব্লক দিয়ে কোনোমতে চলাচল করছে। সেতুতে গাড়ি চলাচল না থাকায় রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

নাজিরপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়ক না হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটি নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। সরকার এত টাকা খরচ করে সেতু করেছে কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসছে না। সেতুর সংযোগ সড়কে বালু ফেলে রাখা হয়েছে। এতে চলাচল করা যায় না। আবার কোনো কোনো জায়গায় মাটি না থাকায় অনেক কষ্ট করে সেতুতে উঠতে হয়।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী তানজিলুর রহমান বলেন, সেতু নির্মাণের পরে কারিগরি সমস্যার কারণে সংযোগ সড়কে বালু দিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। পরে সেতুর পূর্বপ্রান্তে নদীর ভাঙন দেখা দেয়। সেতুটি রক্ষার জন্য ওই প্রান্তে একটি স্প্যান বাড়াতে হবে। পরে সংযোগ সড়কের কাজ করা হবে। এ ছাড়া সেতুটি হেঁটে চলার উপযোগী করার জন্য বালুর বস্তা দিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

এলজিইডির বরিশাল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান, সেতুর স্প্যান বাড়ানো এবং সংযোগসড়কের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সেতুর স্প্যান বৃদ্ধি ও সংযোগসড়কের কাজ শুরু করা হবে।

কেএস 

Link copied!