ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ফরিদপুরে মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

জুলাই ২৩, ২০২২, ০৪:৫২ পিএম

ফরিদপুরে মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আশাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সভাপতি তৈয়বুর রহমান মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বাণিজ্যর ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ভিডিওতে দেখা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি তৈয়বুর রহমান একটি ব্যাগ থেকে নাইমের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন। 

ভিডিওতে আরও দেখা যায় এক ভুক্তভোগী স্বামী জিয়া বলছেন, এই যে তৈবুর রহমান ঘুষের টাকা ফেরত দিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ জুন মাদ্রাসায় চারটি পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে একটি পদ ব্যতীত অন্য তিনটি পদে তিনজন প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। উপাধ্যক্ষ পদে প্রার্থীরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল করতে না পারায় এই পদের নিয়োগ বাতিল করা হয়। অন্য তিনটি পদে আয়া হিসেবে রেশমা খাতুন, অফিস সহকারি কাম-হিসাব সহকারি হিসেবে মোঃ তারিক হাসান, অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মোঃ নাজমুল হক নির্বাচিত হন। 

মনিরা আলম নামের এক মহিলা প্রার্থীকে আয়ার চাকরি দিবেন বলে তার স্বামী জিয়াউর রহমানের নিকট থেকে চার লক্ষ টাকা অগ্রীম নেন মাদ্রাসার সভাপতি তৈয়বুর রহমান। তিনি যেভাবেই হোক চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলে চাকরি প্রার্থীকে আশ্বাস দেন। কিন্তু মনিরা আলমকে চাকরিটি না দিতে পেরে তৈয়বুর রহমান রাতেই জিয়াউর রহমানকে সেই চার লক্ষ টাকা ফেরত দেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন এই সভাপতি। আয়া পদের জন্য যদি চার লক্ষ টাকা দিতে হয় তাহলে অন্যসব পদের জন্য আরও বেশি টাকা দিতে হয়েছে। তিনটি পদে প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য আবেদন করা প্রার্থী মিতু খানম। তিনি সবদিক দিয়ে এগিয়ে থেকেও চাকরিটা পাননি দাবি করে তার স্বামী নাইমুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি আমার সম্পর্কে চাচাতো চাচা। তার কথা মতো সবই করেছি। সবই ঠিক ছিল।কিন্তু নিয়োগের আগের রাতে কি হতে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝলাম না। পরে ঘুষের টাকা যদিও ফেরত পেয়েছি। 

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সব পদেই মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। টাকা ছাড়া কোন পদে নিয়োগ হয়নি। 

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি তৈয়বুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, তিনি নিয়োগের পরই বাড়ি থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

এ ব্যাপারে আশাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন,নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সঠিক নয়। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটা এক ধরনের ষড়যন্ত্র। 

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ সঠিক নয়। কোন প্রকার নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। স্বচ্ছতার সহিত নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। কোন বাণিজ্য হতে দেওয়া হয়নি। 

রাতের অন্ধকারে ঘুষের টাকা ফেরত বিষয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্য হয়নি বলেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। 

কেএস 

Link copied!