ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি

আগস্ট ৬, ২০২২, ০৬:৪৫ পিএম

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে একদল শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা।

গত ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার সংলগ্ন বোয়ালিয়া জেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে কিছু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে আধা ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে যায়।

ঘটনার প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিসুর রহমান খানকে ফাঁসাতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত ৩ আগস্ট ওই মহল তাদের দাবিকৃত ২ লাখ টাকা না পেয়ে গভীর রাতেই ষড়যন্ত্রের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নামেন। তারা প্রধান শিক্ষকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায়। বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন নিয়ে ঝাড়ু মিছিল ও জুতা হাতে মিছিলে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়।

এ ঘটনায় শনিবার (৬ আগস্ট) বোয়ালিয়া জে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আকমল হোসেনসহ একটি টিম।

তদন্ত শেষে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, লিখিত প্রতিবেদন আমার হাতে এখনো আসেনি। তবে থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে তানজিলা নামের যে ছাত্রীর স্বাক্ষীর নাম রয়েছে, তার সাথে আমরা সবাই কথা বলেছি। তানজিলা আমাদেরকে বলেছে অষ্টম শ্রেণির যে ছাত্রী অভিযোগকারী সে আর আমি এক সাথেই প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে গিয়েছিলাম। লেইজারের পরে তারা উভয়ে ছুটি নেয়ার জন্য আবার এক সাথেই বের হয়েছি। ওই সময় শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চেয়ারম্যান আরও জানান, বিদ্যালয়ের আয়ার সাথেও তিনি কথা বলেছেন। প্রধান শিক্ষকের রুমে কেউ যেতে হলে আয়ার অনুমতি নিয়েই যেতে হয়। যদি প্রয়োজনে কোন ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করতে আসেন তাদের সাথে আয়া প্রধান শিক্ষকের রুমে প্রবেশ করেন। শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা আয়া দেখতে পায়নি। তবে থানায় যে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা পুলিশি তদন্তে রয়েছে।

অপরদিকে ৬ আগস্ট বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে শিক্ষার্থীরা জানান, এলাকার বড় ভাইরা আমাদের ডেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিসুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছে। অনেক ছাত্র ছাত্রীরা বাড়ি চলে গেছে সবাই বিক্ষোভে অংশ নেয়নি। তারা ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার জানতে পারে বিক্ষোভের কারণ। 
শিক্ষাথীরা আরও জানান, প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস স্যারকে তারা কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি।

তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আশুতোষ ব্রহ্ম প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, স্থানীয় একটি পক্ষ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের জন্য পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি সাজিয়েছে।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, বোয়ালিয়া জে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। এখনো পর্যন্ত শ্লীলতাহানি ঘটনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোঃ আকমল হোসেনে জানান, প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিসুর রহমান খানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কেএস 

Link copied!