ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

মোবাইলের লুডু খেলা এখন ডিজিটাল জুয়া

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

আগস্ট ৮, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম

মোবাইলের লুডু খেলা এখন ডিজিটাল জুয়া

বরিশাল নগর জুড়ে লুডু খেলা এখন জুয়ায় পরিণত হয়েছে। এক সময়ে যে লুডু বোর্ড ছিল কাগজে তৈরি, এখন তা মোবাইলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ মোবাইলের মাধ্যমেই চলছে নগরের অলি-গলিসহ বিভিন্ন প্রান্তে এ ডিজিটাল জুয়া চলছে দিন-রাত। স্মার্টফোনে লুডু কিং নামে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে সর্বোচ্চ আটজন মিলে এ খেলা খেলতে পারে। খেলার ধরন রয়েছে দুই প্রকার। একটি অনলাইনের মাধ্যমে অপরটি একটি মোবাইলে একইসঙ্গে বসে খেলা যায়। তবে অনলাইন ছাড়া একসঙ্গে চারজনের খেলার প্রবনতা বেশি দেখা গেছে। চারজন মিলে খেললে এক একটি গেইম শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট। প্রতি গেমে বাজি ধরা হয় ১০০-৫০০ টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ আরো বেশিও হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এক ব্যক্তি বলেন, তিনি পেশায় একজন মোটরসাইকেল চালক। এক সময় নিয়মিত মোবাইল ফোনে লুডু কিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে জুয়া খেলতেন। খেলতে খেলতে এমন নেশা হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত আয়ের উৎস মোটরসাইকেলটিও বিক্রি করে দিতে হয়েছে দেনার কারনে। এখন তিনি বেকার।

তিনি আরও জানান, নগরের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, বস্তি এলাকায় গেলেলেই দেখা যায় এ জুয়ার আসর জমজমাট। এসব জায়গায় যারা লুডুর মাধ্যমে জুয়া খেলে তারা একটি মোবাইলের মাধ্যমে একসঙ্গে বসে। বেশি ভাগই হলো তরুণ এবং যুবকরা।

পলাশপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দারা বলেন, আমাদের যুবকরা এখন ধংশের পথে। কারন মোবাইল ফোনে এখন কথা হয় না। চলে জুয়া খেলার আড্ডা। আমাদের সন্তানরা লেখা পড়া বাদ দিয়ে বসে মোবাইলে জুয়ার আড্ডায়।

বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘এসব জুয়ারিরা যখন সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে, তখন তারা সামাজিক নানা প্রকার অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তাই এ ধরনের জুয়া বন্ধ করার জন্য জরুরী ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার প্রসাশনের।’

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তবে খুব শিঘ্রই একটি অভিযান চালানো হবে ডিজিটাল জুয়ারিদের বিরুদ্ধে।

তিনি আরো বলেন, আমি রাস্তায় বের হলে আমার সামনে যদি মোবাইলে জুয়া খেলার দৃশ চোখে পরে তাহলে আমি তাদের সর্তক করে থাকি না খেলার জন্য।

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের এক কর্মকতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের জুয়া খেলায় হাতে-নাতে কাউকে ধরতে পারলে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে পারিবারিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে অভিবাভকদের।

কেএস 

Link copied!